নোয়াখালীর সুবর্ণচরে টাইগার-ধনীর দুলাল কিনলে ক্রেতাকে ১ টি করে খাসি উপহার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ শেষে এমবিএ করা তরুণ খামারি মো. মোর্শেদ আলম ওমর (২৪)।
ওমর পড়াশোনার পাশাপাশি ভবিষ্যতে নিজে স্বনির্ভর হওয়ার ও এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নের স্বপ্নে কয়েক বছরের জমানো টাকায় নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার গাজীর খোয়া এলাকার নবগ্রামে গড়ে তুলেছেন ‘রুপালী এগ্রো’। এই খামারে পরম আদর যত্নে বড় করেছেন টাইগার ও ধনীর দুলাল। উদ্দেশ্য কোরবানিতে তাদের বিক্রি করবেন।
খামারি মো. মোর্শেদ আলম ওমর বলেন, ইন্দোনেশিয়ান গরু ও আম্রিকান ব্রাহামা। এই দুইটা গরু সব থেকে বড় গরু। যারা ক্রয় করবেন তারা সাথে পাবেন একটি করে খাসী ফ্রী। টাইগার ও ধনীর দুলাল নামে এই জোড়া দুইটার দাম ১২ লাখ।
এত বড় গরু বৃহত্তর নোয়াখালীতে নেই উল্লেখ করে ওমর বলেন, গরু দুইটি আমার খুব শখের গরু৷ এদের লালন পালন করতে গিয়ে আমার অনেক টাকা খরচ হয়েছে। গরু দুইটা বৃহত্তর নোয়াখালীর সব থেকে বড় গরু। এদের কাছে গেলে এরা খুব সুন্দরভাবে বুঝতে আমি এসেছি। এত সুন্দর ও বড় গরু দেখলে যে কারো মন ভরে যাবে।
মো. মোর্শেদ আলম ওমর আরও বলেন, গরু দুইটি আমি এক বছর ধরব লালন পালন করেছি। এরা আমার খুব শখের গরু। এই জাত দুইটা সংগ্রহ করতে গিয়ে আমার অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। গায়ে বাঘের মতো ডোরাকাটা দাগ থাকায় নাম দিয়েছি টাইগার। অন্যদিকে সব সময় আলিসান ভাবে চলা ও ভাব নিয়ে খাওয়া দাওয়া করায় নাম দিয়েছি ধনীর দুলাল।
মো. মোর্শেদ আলম ওমর বলেন, বড় গরু বাজারে নিয়ে যাওয়া-আসা অনেক কষ্টের। এজন্য টাইগার-ধনীর দুলালকে আমি বাজারে তুলতে পারছি না। ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য ২ টা গরুর সঙ্গে দুইটি বড় খাসি উপহার দিতে চেয়েছি। টাইগারের ওজন ১৭ এবং ধনীর দুলালের ওজন ১৬ মণ হবে। গরু দেখতে ভিড় করছেন অনেক ক্রেতা ও স্থানীয়রা।
খামারের ম্যানাজার জহিরুল ইসলাম রাজু বলেন, আমাদের খামারে দুইটা আদরের গরু আছে যার একটার নাম টাইগার অন্যটির নাম ধনীর দুলাল। গরু দুইটির জন্য সার্বক্ষণিক দুইজন লোক কাজ করে। এদের খাবারের পরিমাণ অন্য সব গরু থেকে বেশি। তাই এদের খুব যত্নসহকারে লালন পালন করি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাজী রফিকুজ্জামান বলেছেন, ওমর পড়াশোনার পাশাপাশি কৃষিখাতে সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। তার খামারের গরুদুইটি জেলার সব থেকে বড় গরু।প্রাণী সম্পদ বিভাগে নিছক গবাদিপশু লালন পালন করা নয় এটি একটি শিল্প। ছাত্র, শিক্ষক, বেকার যুবক, বিদেশ ফেরত, নারীসহ সকলে এখানে এসে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারেন। জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে সকল নতুন খামারিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। গতবছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোভিড ১৯ এর ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ১ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছেন।