”সাবধান এই ক্রসিংয়ে গেটম্যান নাই,নিজ দায়িত্বে ও সাবধানে এই লেভেল ক্রসিং পারাপার হইবেন’’ -গাজীপুর মহানগরের ২১ নং ওয়ার্ডের কারখানা বাজারের বিপ্রবর্থা একটি রেলক্রসিংয়ে এমন সাইনবোর্ড টানিয়ে দায় সেরেছে রেলওয়ে কতৃপক্ষ।
রেলক্রসিংয়ের আগে একটি পুরানো দোকানে লাগানো রয়েছে এমন সাইনবোর্ড যাতে জং লেগে একাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। খুব ভালো করে খেয়াল না করলেও বোঝাও যাবেনা কী লেখা রয়েছে। এই ক্রসিংয়ের মতো গাজীপুরে বিভিন্ন জায়গায় গেটম্যান ও ব্যারিয়ার না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার করছে সাধারণ মানুষ ।
সরেজমিনে দেখা যায়, গাজীপুরের দেশীপাড়া ,কারখানা বাজার, বনখড়িয়া,বাঘিয়া,আক্কাস মার্কেট,হায়দ্রাবাদ,কালিগঞ্জ,কালিয়াকৈর ও শ্রীপুরসহ প্রায় অর্ধশতাধিক অরক্ষিত রেলক্রসিং রয়েছে গাজীপুরে। জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশন দেশের বৃহত্তম ও গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশন। দৈনিক গড়ে এই স্টেশন দিয়ে ৭৮ টির ও বেশি ট্রেন চলাচল করে। কোন কোন রেললইনের পাশে স্কুল থাকায় ঝুঁকি আরো বেশি বেড়ে যায়।
নগরেরর কারখানা বাজারের এক পথচারী বলেন, এ রেলক্রসিং অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। এর আগে অনেকেই এখানে বিপদে পড়েছে। রাস্তা থেকে রেললাইন অনেক উচু আর বাকা মোড় থাকায় অনেক সময় ট্রেন দেখা যায় না,যার ফলে একটু অসাবধান হলেই ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।
বন খড়িয়া প্রাইমারি স্কুলের পাশ দিয়ে রয়েছে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেললাইন। মাসুদ নামের এই স্কুলের এক ছাত্র বলেন, আমাদের স্কুল রেল লাইনের কাছাকাছি। তাই এ পথ দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করি। এখানে কোন ব্যারিয়ার না থাকায় অনেক ঝুঁকি নিয়ে আমাদের পারাপার হতে হয়।
মাসুম নামে এক অটো চালক বলেন,আমরা সারাদিনই এই রেললাইনের উপর দিয়ে গাড়ি চালাই। আশেপাশে বন থাকায় ট্রেন আসছে বোঝা যায়না। তাই এখানে এসে থেমে পার হই। দিনের বেলা পার হলেও ভয় থাকে রাতে। বড় কোন দুর্ঘটনা না ঘটলে কেউ কিছু করবো না।
জয়দেবপুর জংশনের স্টেশন মাস্টার রেজাউল ইসলাম বলেন,গাজীপুরে এখনো বেশকয়েকটি অরক্ষিত রেলগেট রয়েছে। উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে পর্যায়ক্রমে ব্যাবস্থা করা হবে। পাশাপাশি সাধারণ জনগন ও গণপরিবহনকে সচেতনভাবে রেলক্রসিং পার হতে হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের (গাজীপুর) কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, অরক্ষিত রেলক্রসিংগুলোতে গেটম্যান ও ব্যারিয়ার দেওয়া ব্যবস্থা করা হবে।