দেশের
শিল্পখাতে গ্যাসের দাম ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত
বাড়ানো হয়েছে। আজ (১৩ এপ্রিল) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এ সিদ্ধান্তের ঘোষণা
দেয়।
সংবাদ
সম্মেলনে বিইআরসি চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ জানান, শিল্প গ্রাহকদের জন্য প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের মূল্য ৩০ টাকা থেকে
বাড়িয়ে ৪০ টাকা নির্ধারণ
করা হয়েছে। ক্যাপটিভ পাওয়ার উৎপাদনের ক্ষেত্রে গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারিত হয়েছে ৪২ টাকা, যা
আগে ছিল ৩০.৫০ টাকা।
বিইআরসি
জানিয়েছে, বিদ্যমান গ্রাহকদের (শিল্প ও ক্যাপটিভ) ক্ষেত্রে
বর্তমান হার যথাক্রমে ৩০ এবং ৩১.৭৫ টাকা অপরিবর্তিত
রাখা হয়েছে। তবে নতুন এবং প্রতিশ্রুত গ্রাহকদের জন্য প্রস্তাবিত হার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
পেট্রোবাংলার
প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতিশ্রুত (ইতোমধ্যে অনুমোদিত) গ্রাহকদের অর্ধেক গ্যাস বিল বর্তমান দরে এবং অর্ধেক ৭৫.৭২ টাকা
হারে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। নতুন গ্রাহকদের জন্য শিল্প ও ক্যাপটিভ উভয়
ক্ষেত্রেই গ্যাসের দাম ৭৫.৭২ টাকা
প্রতি ঘনমিটার নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
বিইআরসি
এই প্রস্তাব নিয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি
গণশুনানি গ্রহণ করে। ওই শুনানিতে পেট্রোবাংলার
পক্ষ থেকে জানানো হয়, গ্যাসের মূল্য না বাড়ালে প্রতিবছর
প্রায় ১৬ হাজার কোটি
টাকা ঘাটতি হবে।
তবে
প্রস্তাবিত দামের বিরুদ্ধে শিল্প মালিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনের
নেতারা তীব্র আপত্তি জানান। তারা দাবি করেন, একসঙ্গে দুটি আলাদা দরে গ্যাস সরবরাহ করা অব্যবস্থাপনার জন্ম দেবে এবং এটি শিল্পখাতের ওপর বড় ধাক্কা হিসেবে
আসবে।
বিশেষ
করে ‘নতুন’ ও ‘বিদ্যমান’ গ্রাহকদের
জন্য আলাদা দরের এই প্রস্তাবকে ‘বৈষম্যমূলক’
আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবি
জানান প্রায় সব পক্ষ।
নতুন
এ দাম কবে থেকে কার্যকর হবে, তা এখনো স্পষ্টভাবে
জানানো হয়নি। তবে শিগগিরই গেজেট আকারে প্রকাশের পর তা কার্যকর
হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।