রপ্তানি পণ্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করবেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ বিষয়ে তিনি নিজেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
গতকাল (০৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মার্কিন শুল্ক ইস্যু নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিং করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা সরাসরি মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন এবং তার আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা ব্যবহার করে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তুলে ধরা হবে।
উপদেষ্টা বশিরউদ্দীন বলেন, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট অফিসগুলোর সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের করণীয় নির্ধারণ করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, শুল্ক ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের কিছু অশুল্ক বাণিজ্য বাধা রয়েছে, সেগুলো দূর করার চেষ্টা করা হবে। এই প্রক্রিয়ায় প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমানের মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে, যার মাধ্যমে অশুল্ক বাধাগুলো সরানোর চেষ্টা করা হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমদানি বৃদ্ধি করে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো সম্ভব। সেক্ষেত্রে সয়াবিন তেল, পোশাক শিল্পের কাঁচামাল, শিল্প যন্ত্রাংশ, জ্বালানি ইত্যাদি পণ্য আমদানির কথা উল্লেখ করেন তিনি।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক বাড়ানোর ফলে পোশাক রপ্তানি কমে যাওয়ার আশঙ্কা তিনি দেখছেন না।
প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের ফলে কোনো দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের কাছে আমাদের অবস্থান তুলে ধরার পর একটি ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও উপস্থিত ছিলেন।