হাইকোর্ট
জানিয়েছে, অনলাইন ব্যবসা করার ক্ষেত্রে সবাইকে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন মেনে চলতে হবে। এছাড়া, ব্যবসার ক্ষেত্রে ৯ দফা নির্দেশনা
মেনে চলার জন্যও বলা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত নারী উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতেমা তনির মালিকানাধীন শোরুম ‘সানভিস বাই তনি’ খুলে দেওয়ার নির্দেশনা সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করে হাইকোর্ট এই রায় দিয়েছে।
আজ
(১০ মার্চ) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি এস এম মাসুদ
হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের প্রকাশিত রায় থেকে এই তথ্য জানা
গেছে।
রায়ে
উল্লিখিত ৯ দফা নির্দেশনা
হলো:
১.
সবাইকে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন মেনে চলতে হবে এবং অনলাইন ব্যবসায়ীদের ও ভোক্তাদের মধ্যে
সুষ্ঠু সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।
২.
অনলাইন ব্যবসা পরিচালনায় যদি আইন লঙ্ঘন হয়, তবে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ আইনের সমান সুরক্ষা পাবে।
৩.
প্রতিটি নাগরিকের বৈধ ব্যবসা পরিচালনার অধিকার থাকবে, এবং আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়া তার ব্যবসা বন্ধ করা যাবে না।
৪.
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিভাগকে সকল অনলাইন ব্যবসায়ী/মালিক/সদস্যকে নিবন্ধনের আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং তাদের অনলাইন ব্যবসা পরিচালনার জন্য অনুমোদন দিতে হবে।
৫.
নিশ্চিত করতে হবে যে, কেউ অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অননুমোদিত ব্যবসা চালাতে না পারে, বিশেষত
যাতে বিদেশি আসল পণ্য নকল করে বিক্রি না করা হয়।
৬.
সব অনলাইন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে তাদের প্রশাসক, মালিক এবং ভোক্তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে যাচাই করতে হবে।
৭.
বিটিআরসি ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট
সরকারি কর্তৃপক্ষকে অনলাইন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য সংরক্ষণে সহযোগিতা করতে হবে।
৮.
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনলাইন গ্রাহকদের সচেতন করতে হবে যাতে তারা প্রতারণার শিকার না হন এবং
অনুমোদন/নিবন্ধন ছাড়া কোনো অনলাইন দোকান বা সরবরাহকারীর কাছ
থেকে পণ্য না কেনেন।
৯.
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিভাগকে অনলাইন ব্যবসায়ীদের প্রতারণার জন্য বিচার করার লক্ষ্যে ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা আইন, ২০০৯ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনের বিধান সন্নিবেশ করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।