ছবিঃ সংগৃহীত।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, গত ছয় মাসে বাংলাদেশের অর্থনীতি যেভাবে পুনরুদ্ধার হয়েছে, সেটি এক ধরনের মিরাকল। তিনি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আগে দেশের অর্থনীতি এমন সংকটময় অবস্থায় পৌঁছেছিল, যে কোনো সময় এটি পতন ঘটাতে পারতো।
আজ
(২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি)
আয়োজিত ‘ডিজেএফবি টক’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রেস সচিব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিজেএফবির সভাপতি হামিদ-উজ-জামান।
শফিকুল
আলম বলেন, “আপনার টাকা নেই, কিন্তু আপনি মসজিদ নির্মাণ করছেন—সরকার কেন মসজিদ নির্মাণ করবে? গণমাধ্যমে দেখলাম, একটি মসজিদ নির্মাণে ১৫-১৬ কোটি
টাকা খরচ হয়েছে, অথচ পাড়ার কমিটি ৩ কোটি টাকায়
এটি নির্মাণ করতে পারতো। এটা একটি চুরির উৎসব।”
তিনি
আরও বলেন, “এনার্জি খাতে ডিসিপ্লিন ফিরিয়ে আনতে হবে। স্টেট স্পন্সরশিপের মাধ্যমে ডাকাতি হয়েছে এই খাতে। বিদ্যুৎ
খাতে স্থায়ী সমাধানের জন্য কাজ করা হচ্ছে এবং বড় বড় পাওয়ার
কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা চলছে। এছাড়া গ্যাসের জন্য প্রচুর পরিমাণে কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে।”
বৈদেশিক
বিনিয়োগ আকর্ষণ করার জন্য চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা বাড়ানোর কথা উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা বাড়াতে হবে, কারণ এই পোর্টের দক্ষতা
না বাড়ালে বিনিয়োগ বাড়ানো সম্ভব নয়। রি-এক্সপোর্টের জন্য
চট্টগ্রামের দক্ষতা আরও বৃদ্ধি করতে হবে এবং এজন্য বিশ্বের বড় বড় কোম্পানির
সঙ্গে আলোচনা চলছে।”
তিনি
আরও বলেন, “ব্যাংকের টাকা চুরি হয়েছে, এবং আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান নিজের জন্য টানেল বানিয়েছেন। দেশের অর্থনীতি এমন অবস্থায় পৌঁছেছিল যে, এটি প্রায় কলাপসের দিকে চলে যাচ্ছিল। তবে গত ছয় মাসে
অর্থনীতি যে অবস্থায় কামব্যাক
করেছে, তা সত্যিই একটি
মিরাকল। আমরা এমন একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পেয়েছিলাম, যেখানে জমিদারের মতো হাতে কিছু টাকা পেয়েছি, কিন্তু তা অপব্যবহার করা
হয়েছে। অপচয় ঠেকাতে ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে, এবং বাজেটের একটি বড় অংশ বৈদেশিক
ঋণ পরিশোধে যাচ্ছে।”
এছাড়া
তিনি বলেন, “এনার্জি সিস্টেমে দক্ষতা না থাকলে কোনো
বিনিয়োগ আসবে না। পাওয়ার সিস্টেমে ডাকাতি করা হয়েছে, এবং দেশে বিনিয়োগ প্রয়োজন ছিল, কিন্তু সেটা করা হয়নি। রেভিনিউ সিস্টেম ভালো ছিল না। বিগত সরকার হাতে যে টাকা পেয়েছিল,
তা বাজে কাজে খরচ করেছে। ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণে অতিরিক্ত খরচ হয়েছে, যা আরও কম
টাকায় করা যেত। রেললাইন সম্প্রসারণ করা হয়েছে এমনভাবে, যা কার্যকর হয়নি।
এটা শুধু জনগণের টাকার অপচয়।”
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh