× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ ঋণে সাময়িক তারল্য কাটলেও ব্যাংকিং সিস্টেমে ডিপোজিটাররা আত্মবিশ্বাস ও ভরসা হারাচ্ছে : ড. মাহবুব উল্লাহ

শাহ্ রুদ্রাক্ষী আকরাম

০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২২:১৩ পিএম

ছবিঃ অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ ঋণে সাময়িক তারল্য কাটলেও ব্যাংকিং সিস্টেমে ডিপোজিটাররা আত্মবিশ্বাস ও ভরসা হারাচ্ছে

ড. মাহবুব উল্লাহ , অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক 

ইসলামি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও এবি ব্যাংক তিন ব্যাংককে  ১২,৫০০ কোটি টাকা, বিশেষ ধার দিয়েছেন বাংলাদেশ। এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মাহবুব উল্লাহ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতামত। 

প্রশ্ন ১

ইসলামি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও এবি ব্যাংককে মোট ১২,৫০০ কোটি টাকার বিশেষ ঋণ দেওয়া হয়েছে এতে ব্যাংকিং সিস্টেম সচল থাকবে কিনা এ ব্যাপারে আপনার মতামত কী?

উত্তর: তিনটি ব্যাংককে মোট ১২,৫০০ কোটি টাকার ঋণ দেওয়ায় তারা সাময়িকভাবে কিছু স্বস্তিবোধ করতে পারে কিন্তু, শেষ পর্যন্ত কতোটা স্বস্তি নিয়ে আসবে এ সম্পর্কে আমার সন্দেহ আছে। কারণ হচ্ছে, ব্যাংকে যারা ডিপোজিটর বা তাদের ক্লায়েন্ট তারা যে টাকা জমা দিয়েছিলো ব্যাংকে তারা সেই টাকা ব্যাংক থেকে ফেরত চাচ্ছিলো। আমরা জানামতে, ইসলামি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও এবি ব্যাংক তাদের ডিপোজিটরদের টাকা ফেরত দিতে র্ব্যথ ছিলেন যার ফলে তারল্য সংকটের সৃষ্টি হয়েছিলো। মূলত এই সংকট নিরসনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ ঋণ দিয়েছে এবং এ তিনটি ব্যাংক তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের ডিপোজিটরদের দাবী-দাওয়া সাময়িকভাবে পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু আমার ধারণা, ব্যাংকিং সিস্টেম চলে সর্ম্পূণভাবে আস্থা ও আত্ববিশ্বাসের ওপর। আর এ দুটোই যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে ব্যাংকিং সিস্টেম চলে না। ব্যাংকিং সিস্টেমে একবার আস্থা হারালে তা ফিরে পেতে অনেক সময় লাগে।

এ তিনটি ব্যাংকের মধ্যে ইসলামি ব্যাংক শক্তিশিালী হলেও ন্যাশনাল ব্যাংকের অবস্থা অত্যন্ত করুন। এ অবস্থায় এ তিনটি ব্যাংকে মানুষের আস্থা ফিরে না আসলে এ অবস্থায় ব্যাংকের ডিপোজিটর বা ক্লায়েন্টদের টাকা ফেরত দিয়ে সমস্যার সমাধান আসলে সম্ভব নয়। সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা দিয়েছে এ কারণেই সাময়িক সমাধান হয়েছে। তাছাড়া বেশিরভাগ ব্যাংকগুলোই পতনের দিকে যাচ্ছে যার ফলে দেশের অর্থনীতির জন্য নেতিবাচক প্রভাব পরছে। মূলত এই পতন ঠেকাতেই বাংলাদেশ ব্যাংক  বিশেষ ঋণ দিয়ে সাময়িক পতনরোধ করেছেন। 

প্রশ্ন ২

এবি ব্যাংক দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে অনিয়মে জড়িত। বাংলাদেশ ব্যাংক এমন একটি ব্যাংককে ১ হাজার কোটি টাকার বিশেষ ধারসহ আরো ২০০ কোটি টাকা দিয়েছে দৈনন্দিন তারল্য সংকট মেটাতে। এর ফলে দেশে আর্থিকভাবে সুফল বয়ে আসবে কী?

উত্তর: তারল্য সংকট দূর করার জন্য এ প্রতিটি ব্যাংকেই নতুন ক্লায়েন্ট ও ডিপোজিটরদের সাথে সর্ম্পক স্থাপন করতে হবে। ব্যাংকিং সিস্টেম ব্যবসা খুব সহজ কারণ, যারা ডিপোজিটর তারা টাকা জমা দেয় আর যারা ঋণ গ্রহীতা তারা ব্যাংক থেকে টাকা নেয়। মূল বিষয় হলো ব্যাংকের লেনদেন প্রক্রিয়া সুদের মাধ্যমে হয়ে থাকে। ভবিষ্যতে যদি ডিপোজিটররা ব্যাংকে টাকা জমা না দেয় নতুন ডিপোজিটর তৈরি না হয় সেক্ষেত্রে, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ ঋণকে সাময়িক সমাধান হিসেবে গণ্য করা যায় কিন্ত র্দীঘমেয়াদি হলে তা পতন হবে। সুফল হবে তখন যখন সাধারণ মানুষের মনে ব্যাংকিং সিস্টেম নিয়ে আত্মবিশ্বাস ও ভরসা ফিরে আসবে। ব্যাংকে  ডিপোজিটর বা ক্লায়েন্টদের আনাগোনা বৃদ্ধির মাধ্যমে ।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.