রাজধানীর
বাজারগুলোতে দেখা দিয়েছে বোতলজাত সয়াবিন তেলের তীব্র সংকট। আর এই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে
কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বোতলে লেখা দামের চেয়ে ১৫-২০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করছেন সয়াবিন
কিংবা পাম অয়েল। অনেকে আবার বোতল থেকে ঢেলে খোলা তেল বলে বেশি দামে বিক্রি করছেন। গত
কিছুদিন ধরে এমনটাই চলছে বাজারে।
আজ (৬ ডিসেম্বর)
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্রের দেখা মেলে।
সরকারি সংস্থা
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, খুচরা পর্যায়ে বর্তমানে এক লিটার
খোলা সয়াবিন ১৬৫-১৬৮ টাকা এবং এক লিটার খোলা পাম তেল ১৫৮-১৫৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মিরপুর-১১
নাম্বারের বাসিন্দা নাফিস আহমেদ যিনি একজন বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন, তিনি বলছেন,
মিরপুর-১১ তে অত্র এলাকার মধ্যে বেশ বড় একটি বাজার রয়েছে যেখানে কাঁচাবাজার থেকে শুরু
করে মেলে সকল নিত্যপণ্য। খুচরা ও পাইকারী উভয়ক্ষেত্রেই এই বাজারের ওপর আশেপাশের এলাকার
অনেক মানুষ নির্ভরশীল। এই বাজারের খোলা সয়াবিন তেল থেকে শুরু করে অন্যান্য ভোজ্যতেলের
চাহিদা ও সুনাম দুইই বোতলজাত তেলের থেকে বেশি, যা নিতে অনেক দূর থেকেও এ বাজারে আসেন
ক্রেতারা।
তবে নাফিস
আহমেদের কাছ থেকে এবার অভিযোগ মিলেছে, বোতলজাত ভোজ্যতেলের সংকটের খবর চাউর হয়ে গেছে
এই বিষয়টা কাজে লাগিয়ে অনেকে অসাধু ব্যবসায়ী বোতলের তেল খুলে খোলা তেল হিসেবে বিক্রি
করছেন।
এ বিষয়ে এই
বাজারের এসব তেলের নিয়মিত গ্রাহক গৃহিণী রিক্তা রহমান বলেছেন, আমি বিগত ২০ বছর ধরে
এখান থেকে তেল কিনি। মাঝেমধ্যে কোয়ালিটি একটু এদিক ওদিক হয়, তবে এখন এই বাজারের বেশিরভাগ
দোকানেই খোলা তেল বলে এরা যা বিক্রি করছে তার সাথে আগের কেনা খোলা তেলের বিস্তর ফারাক।
যে দু'একটি দোকানে ভাল তেল পাওয়া যেত সেখানেও এখন চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় তেল
পাওয়া যাচ্ছে না।
নগরীর ফার্মগেট,
মোহাম্মদপুর এসব এলাকাতেও একই ধরণের অভিযোগ মিলেছে।
বিক্রেতাদের
কাছে এ ব্যপারে প্রশ্ন করলে, তারা এসব অভিযোগকে গুজব বলে এড়িয়ে যান। অনেকে আবার বলছেন,
তাদের বাজারের সুনাম নষ্ট করতে এসব কথা ছড়াচ্ছে কিছু ব্যবসায়ী যারা এলাকার অলিতে গলিতে
খাঁটি তেলের গ্যারান্টি দিয়ে খোলা তেলের ব্যবসা করছেন।