দীর্ঘ চার বছর চার মাস পর আগামী ২৭ অথবা ২৯ জুলাই চালু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাট।
মঙ্গলবার (২ জুন) দুপুরে দু’দেশের সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ব্যবস্থাপনা কমিটি সভার আগে হাটের সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশ অংশের সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) জেসমিন সুলতানা জানান, দু’দেশের সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করে প্রাথমিক দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে। এর আগে আরো একটি বৈঠক করা হবে। তবে, ইতিমধ্যেই হাটের সংস্কার কাজ প্রায় শেষ করা হয়েছে। আরো কিছু কাজ বাকি আছে।
মঙ্গলবারের বৈঠকে ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহিজলা জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত মজুমদার ভারতের নেতৃত্ব দেন। তিনিও হাটের সার্বিক অবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে হাট চালু হলে আগের অবস্থা ফিরে পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান স্বপন, কসবা পৌর মেয়র এম.জি হাক্কানি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বিগত ২০১৫ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার তারাপুর ও ভারতের সিপাহিজলা জেলার কমলাসাগর এলাকার সীমান্ত হাট। দু’দেশের ৫০টি করে মোট ১০০টি দোকান বসতো ওই হাটে। করোনা মহামারী দেখা দিলে ২০২০ সালের ১০ মার্চ থেকে হাটের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
মূলত সীমান্ত এলাকার পাঁচ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে বসবসকারিরা এ হাট থেকে পণ্য কেনার নিয়ম রয়েছে। তবে, কসবা উপজেলাসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ এ হাটে এসে পণ্য কিনে নিয়ে যেতেন। বাংলাদেশি পণ্যের চেয়ে ভারতীয় পণ্যের চাহিদা ছিলো ওই হাটে বেশি। প্রতি রবিবার বসতো হাট।