বৈশ্বিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে যখন দেশের রপ্তানি খাতের ওপর জোর দিচ্ছে সরকার। এমন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি বিশ্ববাজারে জায়গা করে নিচ্ছে বাংলাদেশের চা ‘রিভাইভাল টি’। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে যাত্রা শুরু করো বাংলাদেশি পণ্য রিভাইভাল টি। স্বল্প সময়ের মধ্যেই উন্নত মানের চা দেশের পাশাপাশি দুবাই, ব্যাংকক ও লন্ডনের বাজারে রপ্তানি করা সম্ভব হয়েছে ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বিশ্বের অন্যতম চা রপ্তানিকারক দেশ বাংলাদেশ হলেও বাংলাদেশি পণ্য হিসেবে খুব কম প্রতিষ্ঠানের পণ্যই বিদেশের সুপারশপে জায়গা করে নিতে পেরেছে। এই চায়ের উদ্যোক্তা ইম্পেরিয়াল ভেঞ্জারের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহাত আশেকিন জানান, ‘রিভাইভাল টি’ বাজারে আনার আগে তিনি চায়ের স্বাদ ও মিশ্রণের বিষয়ে বিশেষায়িত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ন্যায্য দামে উন্নতমানের পণ্য দেয়ার লক্ষ্যে বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্ববাজারে ৮ ধরনের চা বিক্রয় করছে প্রতিষ্ঠানটি৷
যুক্তরাজ্যের ৩শ’রও বেশি দোকানের সেল্ফে রয়েছে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত রিভাইভাল টি এর বিভিন্ন ধরনের চা। বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, দুবাই ও ব্যাংককের ভোক্তাদের কাছে স্বল্প সময়েই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন এই চা। মান ও দামের সঠিক সমন্বয়ের ফলেই ভোক্তা বাজারে এই চায়ের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যুক্তরাজ্য প্রবাসী জনাব আমিন মিয়ার কাছে এই পণ্য সম্পর্কে মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিদেশের মাটিতে নিজ দেশের পণ্য পেয়ে আমরা আনন্দিত, এছাড়াও রিভাইভাল টি’র স্বাদে আমি সন্তুষ্ট।
২০২০ সালে চা থেকে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৩৪৭.১৪ মিলিয়ন টাকা; যা ২০২১ সালে হ্রাস পায় ১৮০.৫৭ মিলিয়ন টাকায়। বিশ্ববাজারে ‘রিভাইভাল টি’কে ব্রান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে রপ্তানি আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখাই লক্ষ্য বলে জানান এই চায়ের পরিবেশক ইম্পেরিয়াল ভেঞ্জারের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহাত আশেকিন।