ব্যাংক ও আর্থিক খাতের শেয়ার বিক্রির চাপের দিনে বিমা ও ওষুধ খাতের শেয়ার কেনার আগ্রহের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। দিনভর সূচক ওঠানামা শেষে এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। তবে অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ২ পয়েন্ট। ডিএসইতে সূচক বাড়লেও উভয় বাজারে কমেছে লেনদেন ও বেশির ভাগ শেয়ারের দাম। এর ফলে নতুন বছরের প্রথম তিনদিন পুঁজিবাজারে সূচক বাড়ল। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিমা ও ওষুধ খাতের কোম্পানির প্রায় সব শেয়ারের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি গ্রামীণফোন ও রবি আজিয়াটা লিমিটেডসহ বড় মূলধনী কোম্পানির দাম বাড়ায় সূচক বেড়েছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিমা খাতের ৫২টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে ৪৩টির, কমেছে ছয়টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে একটি কোম্পানির শেয়ার দর। অপর দিকে ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৩২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩টির কমেছে আটটির আর অপরিবর্তিত রয়েছে একটি কোম্পানির শেয়ার দর।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, এদিন বাজারে ৩৭৮টি প্রতিষ্ঠানের ২৫ কোটি ৫০ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫১টি শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৬৭ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৮০টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির।
এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৮৯২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে ৪ পয়েন্ট, আর ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ৪ পয়েন্ট। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৮২ কোটি ১৮ লাখ ৯১ হাজার টাকার শেয়ার। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৩১৪ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কিছুটা কমেছে।
মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। এরপর ছিল বিএসসি, ফরচুন সুজ, অ্যাক্টিভ ফাইন, লাভেলো, জেনেক্স ইনফোসিস, পাওয়ার গ্রিড, সোনালী পেপার, ওরিয়ন ফার্মা এবং জিএসপি ফাইন্যান্স লিমিটেড।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২ পয়েন্ট বেড়ে ২০ হাজার ১৫৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে ২৯২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৩০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১২৮টির। আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৪টির। এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ৩৫ কোটি ৭১ লাখ ৯২ হাজার ৪৮২ টাকার শেয়ার। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৮ কোটি ৬৯ লাখ ৮৪ হাজার ২১২ টাকা।