বাংলাদেশে তরুণ উদ্যোক্তা উন্নয়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন, ক্রিয়েটিভ এন্ড এন্ট্রাপ্রিনিউরশীপ (আইসিই) সেন্টার এবং দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা) যৌথভাবে কাজ শুরু করেছে। এ লক্ষ্যে শনিবার ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব ইউনিভার্সিটিজ ইন বাংলাদেশ টু প্রমোট ইয়ুথ এন্ট্রাপ্রিনিউরশীপ’ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এই প্রকল্পের আওতায় দেশে উদ্যোক্তা নির্ভর পরিবেশ তৈরি এবং তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে।
এ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্ষ ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
এতে ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং-কিউন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেইন, কোইকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ইয়াং দো, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্ষ ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্ষ অধ্যাপক ড. আ. স. ম মাকসুদ কামাল, আইসিই সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক মো. রাশেদুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুল মঈন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় শামিল হয়েছে। আমরা উচ্চ আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার চেষ্টা করছি। এর জন্য আমাদের সবাই মিলে কাজ করতে হবে। সময় নষ্ট করা উচিত হবে না।’
দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকল্পে এই প্রকল্প ভূমিকা রাখবে। তিনি বাংলাদেশের জন্য উদ্ভাবনমূলক প্রকল্প গ্রহণ করায় কোইকাকে ধন্যবাদ জানান।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং-কিউন বলেন, বাংলাদেশের শিল্প বিপ্লবের জন্য সৃষ্টিশীল আইডিয়া প্রয়োজন। উদ্যোক্তার বিকাশ ঘটাতে হবে। সেই জায়গায় কোইকা এবং আইসিই সেন্টারের প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশে তরুণ উদ্যোক্তা বিকাশে দক্ষিণ কোরিয়া পার্টনার হিসেবে কাজ করতে আগ্রহী বলে তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে আইসিই সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক মো. রাশেদুর রহমান বলেন, আইসিই সেন্টার দেশে একটি উদ্যোক্তা-বান্ধব পরিবেশ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি জানান, এই প্রকল্পের মাধ্যমে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, বরং দেশের যেকোন প্রান্তের সৃষ্টিশীল আইডিয়া নিয়ে কাজ করা তরুণরা নিজেদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগ পাবে।
‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব ইউনিভার্সিটিজ ইন বাংলাদেশ টু প্রমোট ইয়ুথ এন্ট্রাপ্রিনিউরশীপ’ প্রকল্পটি বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের দ্বিপাক্ষিক প্রকল্প। কোইকা, আইসিই সেন্টার ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh