ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র তাণ্ডবের কবল থেকে লবণ বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন কক্সবাজারের মহেশখালীর তিন লবণচাষি।
রোববার (১৪ মে) রাত ১০টা ও ১২টায় উপজেলার হোয়ানকে ইউনিয়নের লবণ মাঠের পৃথক স্থান থেকে দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়। অন্যজন হাসপাতালে এদিন বিকেল ৩টার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মহেশখালীর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত লবণচাষিরা হলেন, মহেশখালী হোয়ানক ইউনিয়নের কালাগাজীর পাড়া গ্রামের আবুল ফজলের ছেলে রিদোয়ান (৩৫), পানিরছড়া গ্রামের আকতার কবিরের ছেলে মুহাম্মদ নেছার (৩২) এবং অন্যজন পানিরছড়া বারঘরপাড়ার মৃত মতনের ছেলে মো. আনছার (৩০)।
স্থানীয়রা বলেন, আমরা যতদূর শুনেছি রোববার সকালে ঘূর্ণিঝড় শুরুর আগ মুহূর্তে হোয়ানকের পশ্চিমে পলিথিন ও লবণ নিরাপদে রাখার জন্য ৪০-৫০ জন শ্রমিক মাঠে যায়। অতিরিক্ত বাতাস ও বৃষ্টির মধ্যে কাজ করার ফলে তাদের মধ্যে ৬-৭ জন অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেখান থেকে তাদের মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়, পরে বিকাল সাড়ে ৪টায় রিদওয়ানকে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ঘরে ফিরে যান।
এদিকে রাত ১০টা ও ১২টায় লবণ মাঠের পাশে পানিতে ভাসমান অবস্থায় বাকি দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গর্তে পড়ে ও অতিরিক্ত ঠান্ডাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করে হচ্ছে।
আজ সোমবার সকালে হোয়ানক কালাগাজী পাড়া লবণচাষি নিহত রিদুয়ান ও পানিরছড়া আনচারের নামাজে জানাজার নামাজ আশেক উল্লাহ রফিক এমপি স্মৃতিস্মারণ করতে গিয়ে বলেন, ‘দুর্ঘটনাটা বরাবরই মর্মান্তিক চরম বেদনাদায়ক।’ তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
এসময় জানাযার নামাজে শোকাহত মানুষের ঢল নামে চারদিকে আবেকঘনময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়।