ঘূর্ণিঝড় মোখার তান্ডবে সেন্টমার্টিনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শুধুমাত্র সেন্টমার্টিনে ১২শ ঘরবাড়ি বিধস্ত হয়েছে। ঝড়ে ও বাতাসের তোড়ে দ্বীপের অধিকাংশ ঘরবাড়ি, হোটেল ও ব্যবসা, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান। প্রচুর গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে।
এছাড়া কক্সবাজার জেলায় প্রায় ১০ হাজার ৪৬৯ কাঁচা ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। জেলায় সম্পুর্ণ বিধস্ত হয়ে ২ হাজার ৫২২ ঘর। বিষয়টি প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান।
প্রচন্ড গতির বাতাস নিয়ে রোববার (১৪ মে) বিকাল ৩টার দিকে কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূল আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় মোখা।
খোঁজ নিয়ে ও সরেজমিনে দেখা গেছে, বিচ্ছিন্ন দ্বীপ সেন্টমার্টিন, টেকনাফ সদর, পৌর এলাকা, সাবরাং, ডেইলপাড়া, জাদিমুড়া এলাকায় প্রচুর গাছপালা ভেঙে পড়েছে। উড়ে গেছে ঘরের চালা। বিভিন্ন এলাকায় মানুষকে সড়ক থেকে গাছ সরাতে দেখা গেছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান বলেন, ঝড়ে ইতোমধ্যে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ পাওয়া গেছে। কিছু এলাকায় গাছগাছালি ও ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। দুই এলাকায় বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার সংবাদ পেয়েছি।