বঙ্গোসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। তীব্র বাতাসে ভেঙে গেছে বহু গাছপালা। ভেঙেছে অনেক ঘরবাড়ি ও বিদ্যুতের খুঁটি। এসময় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। সেন্টমার্টিনে অবস্থান করা বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
রোববার দুপুরে সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে গাছচাপা পড়ে নারীসহ ২ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে গাছচাপায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মোট দুজন মারা গেছেন। তবে পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দমকা হাওয়া শুরু হয়। সঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে। প্রবল বাতাস বীচের ভেজা বালু তুলে নিচ্ছে। ঘরবাড়ির টিন, ছাউনি, কাঠ, বাঁশ উড়িয়ে নিচ্ছে। অনেক গাছ ও দুমড়ে-মুচড়ে পড়েছে। দোকানপাট ভেঙে উড়ে গেছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে। জানমাল রক্ষায় দ্বীপটির ৩৭ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ৫ হাজার মানুষ।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাতে গিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, সাইক্লোনের আই যাচ্ছে টেকনাফ থেকে ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে, অর্থাৎ নিচ দিয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তের ভেতর দিয়ে। আমাদের উপকূলে সেন্টার পড়েনি। বাম পাশের অংশ আমাদের ওপর পড়েছে। যে কারণে ক্ষতির পরিমাণ কমেছে। আস্তে আস্তে স্থলভাগে আসার পর দুর্বল হতে থাকবে।