কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভের রেজুখালে সাম্পানের আদলে নতুন ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে কক্সবাজার আসা পর্যটক ও স্থানিয় বাসিন্দারা উচ্ছ্বসিত।
এই ব্রিজে প্রায় সময়ই যানজট লেগে থাকে। পুরোনো ব্রিজটির প্রশস্ত স্বল্প, তবে গাড়ী চলাচল হয় ধারন ক্ষমতার চেয়ে বেশী। তাই প্রায় সময় ওই স্থানে পর্যটকসহ স্থানীয়দের জ্যামে কাটাতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা। এ সংকট দূর করতে নেয়া হয়েছে নব উদ্যোগ।
এমআইএসটি কতৃক রেজুখালের উপর নির্মিত হচ্ছে নতুন ব্রিজ। প্রস্তাবিত এই ব্রিজের নকশা তৈরী করা হয়েছে কক্সবাজারের ঐতিহ্য বহনকারী সাম্পানের আদলে। যার নকশা ইতোমধ্যে অনুমোদিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এমআইএসটির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ৩৬ ফিট প্রস্থের ব্রিজটির দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ১০৩০ ফিট এবং সেতুটি হবে দুই লেনের, তাই যানজট মুক্ত হবে মেরিন ড্রাইভের এ অংশটি। দর্শনার্থীদের ব্রিজ ও আশে পাশের সৌন্দর্য উপভোগে থাকবে প্রশস্থ ফুটপাত এবং পার্কিং সুবিধা। রাতের আলোয় ঝলমলে পরিবেশে রেজু খালের সৌন্দর্যতা উপভোগ করার ব্যবস্থাও রয়েছে সেখানে। সুইচ্চ সেতুটির ডিজাইন করা হয়েছে পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এবং নান্দনিক ও আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে। ওই কর্মকর্তা আরো জানান, সেতুটির সম্ভাব্য বাস্তবায়নের সময় ধরা হয়েছে ডিসেম্বর ২০২২ থেকে ডিসেম্বর ২০২৪ সাল পর্যন্ত ।
জানা গেছে, কক্সবাজারে সাড়ে চার লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ে বহু মেগা প্রকল্প চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর স্থাপন, পরিবেশ বান্ধব ট্যুরিজম স্পট, আশ্রয়ণ প্রকল্প, গভীর সমুদ্রবন্দর, মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে তাপ ভিত্তিক কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, দোহাজারী থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্প বাস্তবায়ন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক স্থাপন, টেকনাফে ইকোট্যুরিজম, প্রথমবারের মতো সমুদ্রের ওপর নির্মিত রানওয়ে, খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্প ও শেখ হাসিনা টাওয়ার ইত্যাদি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে।