নড়াইলে লোহাগড়া উপজেরার ইতনা গ্রামে সংরক্ষিত পূরাকীর্তি প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক ডা: নীহার রঞ্জর গুপ্তের পৈতৃক বাড়িতে ‘ডা: নীহার রঞ্জন গুপ্ত স্মৃতি যাদুঘর’ স্থাপনের প্রশাসনিক অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতœতত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রতন চন্দ্র পন্ডিত স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
লোহাগড়া উপজেলার ইতনা গ্রামে প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক ডা: নীহার রঞ্জন গুপ্তের পৈতৃক বাড়ি রয়েছে। তাঁর পৈতৃক ভিটায় প্রায় এক একর ১৩ শতক জমির উপর বৃটিশ আমলে নির্মিত একটি দোতলা ভবন, একটি পুকুর ও একটি মন্দির রয়েছে। ঐতিহাসিক এই বাড়িটি সাহিত্যিক ডা: নীহার রঞ্জন গুপ্তের স্মৃতি বহন করে আসছে। ২০০৩ সালে এই ঐতিহাসিক বাড়িটি সংরক্ষিত পূরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়িটি আংশিক সংস্কার করা হয়। বিগত ২০২০ সালে বরেণ্য ক্রিকেটার ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্তুজা লোহাগড়ার ইতনায় ঔপন্যাসিক ডা: নীহার রঞ্জন গুপ্তের পৈত্রিক বাড়িটি জাদুঘর হিসেবে স্বীকৃতির জন্য প্রত্নতত্ব অধিদপ্তরকে একটি আধা-সরকারি পত্র (ডিও লেটার) প্রদান করেন। দীর্ঘদিন পরে হলেও ডা: নীহার রঞ্জন গুপ্ত স্মৃতি জাদুঘর স্থাপনে প্রশাসনিক অনুমোদন লাভ করায় এলাকাবাসী খুশি।
ইতনা গ্রামের প্রবীণ শিক্ষক ও সাংবাদিক আতাউর রহমান ফিরোজ বলেন, ‘নড়াইল তথা বাংলাদেশের গর্ব সাহিত্যিক ডা: নীহার রঞ্জন গুপ্তের পৈতৃক বাড়িটি জাদুঘর হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় এলাকাবাসী যারপরনাই খুশি। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাংসদ মাশরাফি বিন মোর্তুজার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ইতনা ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান শেখ শিহানুক রহমান ডা: নীহার রঞ্জন গুপ্তের বাড়িটি জাদুঘর হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রী ও সাংসদ মাশরাফি বিন মোর্তুজার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোসলিনা পারভীন বলেন, ‘বরেণ্য সাহিত্যিক ডা: নীহার রঞ্জন গুপ্তের পৈতৃক বাড়িটি যাদুঘর হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তবে এ সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র আমার হাতে এসে পৌছায়নি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, নীহার রঞ্জন গুপ্ত ১৯১১ সালের ৬ জুন পিতার কর্ম¯’ল কোলকাতায় জন্ম গ্রহন করেন। তাঁর পিতার নাম সত্য রঞ্জন গুপ্ত, মাতা: লবঙ্গলতা দেবী। পড়ালেখা শেষ করে তিনি চিকিৎসক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং একই সাথে তিনি সাহিত্য রচনা শুরু করেন। তাঁর রচিত উপন্যাসের সংখ্যা দু’শতাধিক। ১৯৮৬ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী ৭৪ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বস ত্যাগ করেন।