দক্ষিণ চট্টগ্রামের নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের অপূর্ব সমন্বয় বাঁশখালী ইকোপার্কের স্বচ্ছ লেকের সৌন্দর্য ঢাকা পড়েছে টোপাপানায়। ইকোপার্কের বামের ছড়া ও ডানের ছড়ার স্বচ্ছ লেকটি টোপাপানায় ছেঁয়ে যাওয়ায় চিরচেনা সৌন্দর্য হারিয়েছে। ফলে এখানকার মাছ ও অন্যান্য জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। লেকের ঝুলন্ত সেতুও জরাজীর্ণ। সেতুর একপাশ দেবে গেছে। যেকোনো সময় ভেঙে গিয়ে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। বেশকিছু পাটাতন ভেঙে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঝুলন্ত সেতুটি এখন মরণফাঁদ। সু-উচ্চ পাহাড়, মনজুড়ানো সবুজের ছায়াঘেরা গাছগাছালি, সন্ধ্যায় বন্যপ্রাণীর হাকডাক, বামের ও ডানের ছড়া লেকের স্বচ্ছ জলরাশি, সু-উচ্চ পর্যবেক্ষণ টাওয়ারসহ সব মিলিয়ে অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের নয়নাভিরাম অভয়ারণ্য বাঁশখালী ইকো-পার্ক। এখানে পর্যটকদের আকর্ষণ করার মতো রয়েছে অজস্র প্রাকৃতিক সৌন্দয্যের সংমিশ্রণ। বিকেলের গোধূলিতে লেকের সৌন্দর্য্যে মন ভরে যায়। সে লেকে এখন টোপাপানার রাজত্ব।
কোটি টাকা ব্যয়ে পার্কে বাঁধ নির্মাণ করা হলেও পার্কের সৌন্দর্য্য বর্ধনের মতো কোন কাজ দৃশ্যমান হয়নি। ফলে পর্যটক শুন্য হয়ে পড়েছে বাঁশখালী ইকোপার্ক। দর্শকের আনাগোনা আগের চেয়ে কম হলেও বার্ধক্যজনিত ঝুলন্ত সেতুটির প্রধান ফটকে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে লেখা আছে ১০ জনের অধিক যাত্রী ওঠা নিষেধ। সেতুর পাটাতন ভেঙ্গে গিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়েছে লোহার এ্যাংগেল থেকে। পাটাতন সংযুক্ত এ্যাংগেলে ধরেছে মরিচা। ইকোপার্কের সর্ব্বোচ্চ পর্যবেক্ষণ টাওয়ারের গোড়া থেকে মাটি সরে গেছে। অল্পসংখ্যক দর্শনার্থী টাওয়ারে উঠলে টাওয়ারটি নড়াচড়া করে। ঝুঁকির কবলে এ টাওয়ার যেকোন সময় দূর্ঘটনায় কবলিত হতে পারে।
চট্টগ্রামের বাইরের এক পর্যটক বলেন, আমি বাঁশখালীতে একটি বেসরকারী কোম্পানীতে জব করি। বিনোদনের জন্য বিকালে বাঁশখালী ইকোপার্কে এসেছি। ইকোপার্কের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা জেনেছি নানা প্রামাণ্যচিত্র ও খবরের কাগজে। কিন্তু এসে দেখি বর্ণিত সে সৌন্দর্য্য এখন ম্লান। স্বচ্ছ লেকের জল টোপাপানায় ছেঁয়ে গেছে। দেখেই মনে হলো যেনো একটি বর্জ্যের স্তুপ। তিনি বলেন, এখানে বণ্যপ্রাণীর খাঁচা থাকলে আরো ভালো দেখাতো। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি কৃত্রিম সৌন্দর্য্যের সমন্বয় থাকলে পার্কটি আরো নান্দনিক হয়ে উঠতো। ঝুঁকিপূর্ণ ঝুলন্ত সেতুটি সংস্কার করা না হলে যেকোন সময় মারাত্মক দূর্ঘটনার ঘটে যেতে পারে বলে জানান ওই দর্শনার্থী।
জলদী অভয়ারণ্য রেঞ্জের কর্মকর্তা ও বাঁশখালী ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিছুজ্জমান শেখ জানান, ইকোপার্ক সংস্কারের জন্য আমার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে পার্কের সংস্কারের জন্য বিভিন্ন সময় অবগত করেছি। সম্প্রতি পার্কের বামের ও ডানের ছড়া লেক টোপাপানায় ছেঁয়ে যাওয়ার দৃশ্যটি নজরে এসেছে। সুইচ গেট চালু করলে টোপাপানা চলে যাবে। তাছাড়া পার্কের সামগ্রীক অবকাঠামোগত সংস্কারের বিষয়ে উধ্বর্তন কতৃপক্ষ বরাবর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh