টুইটারে ‘বিভিন্ন রঙের’ ভেরিফিকেশন ব্যবস্থা চালুর ঘোষণা দিয়েছেন সামাজিক প্ল্যাটফর্মটির মালিক ইলন মাস্ক। টুইটারের ‘পাওয়ার টু দ্য পিপল’ নামে ভেরিফিকেশন ব্যবস্থার প্রাথমিক উন্মোচনের অভিজ্ঞতা টুইটার বা মাস্কের জন্য খুব সুবিধার ছিল না। মাস্ক এখন বলছেন, আগামী সপ্তাহে পরীক্ষামূলকভাবে নতুন ‘মাল্টি কালার’ ভেরিফিকেশন ব্যবস্থা চালু করবে তার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম।
মাস্ক যোগ করেন, এই ব্যবস্থায় বিভিন্ন কোম্পানি পাবে সোনালী রঙের ও সরকারী কর্মকর্তারা পাবেন ধূসর রঙের টিক চিহ্ন। — অনেকটা ‘অফিসিয়াল’ লেবেলের মতো, যা এখন কিছু সংখ্যক অ্যাকাউন্টে পরীক্ষাধীন আছে।
তবে, ‘ব্লু’ ব্যাজ সবার জন্য উন্মুক্ত, এমনকি তিনি কোনো তারকা না হলেও। এর মানে, টুইটারের মাসিক আট ডলার খরচ করা গ্রাহকরা যাচাইকৃত সেলিব্রেটিদের অ্যাকাউন্টের মতোই ব্যবহার করতে পারবেন নীল রঙের টিক চিহ্ন।
মাস্ক আরও যোগ করেন, কোম্পানির লক্ষ্য, নতুন ব্যবস্থা চালুর আগ পর্যন্ত প্রতিটি ভেরিফিকেশন অনুরোধ আলাদাভাবে পরীক্ষা করা। এর মাধ্যমে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন, সেটি পরিষ্কার নয় বলে উল্লেখ করেছে টেকক্রাঞ্চ। কারণ, ‘ব্লু’ গ্রাহক সেবার গ্রাহদের অ্যাকাউন্টে কোনো যাচাই ছাড়াই নীল রঙের টিক চিহ্ন পাওয়ার কথা। আর পাশাপাশি, এতগুলো আকাউন্ট একটি একটি করে যাচাই টুইটার কীভাবে যাচাই করবে সেটি আরেক প্রশ্ন। এমনিতেই সাম্প্রতিক ঝাড়ঝাপ্টায় টুইটারের কর্মী সংখ্যা নেমে এসেছে এক তৃতীয়াংশে।
মাস্ক আরও ব্যাখ্যা করেন, বিভিন্ন ব্যক্তি বিশেষ কোনো সংস্থার হলে তিনি ছোট আকারের দ্বিতীয় একটি লোগো পেতে পারেন। তবে, সংস্থাটিকেও যাচাই করতে হবে যে ওই ব্যক্তি তাদের প্রতিনিধিত্ব করেন বা তাদের সঙ্গে কাজ করেন।
তিনি আরও যোগ করেন, সবার অ্যাকাউন্টে নীল রঙের টিক চিহ্ন দেওয়ার সিদ্ধান্তটি ছিল কোনো ব্যক্তির গুরুত্বের ওপর নির্ভর করে।এ মাসের শুরুতেই টুইটারের ঢেলে সাজানো ‘ব্লু’ পরিকল্পনা এক পর্যায়ে স্থগিত করেন মাস্ক। পরে তিনি আবার জানান, ২৯ নভেম্বর থেকে এটি আবার চালু হবে।
তবে, এর পরপরই ছদ্মবেশী অ্যাকাউন্টের ঢল নামলে সেবাটি আটকে দেন মাস্ক। এর পর বিভিন্ন রঙের ভেরিফিকেশন ব্যবস্থা নিয়ে এই প্রথম মুখ খুললেন তিনি।
নতুন এই ভেরিফিকেশন ব্যবস্থা টুইটার ব্লু গ্রাহক সেবার সঙ্গেই উন্মোচিত হবে কি না, সেটি স্পষ্ট করেননি তিনি।