এই সপ্তাহের পরই আন্তর্জাতিক বিরতি। তার আগে সর্বশেষ ম্যাচে জয় পাওয়াটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ রালফ রাংনিকের কাছে। রাংনিক বলেছেন, ছুটির আগে বলে নয়, এমনিতেই এই ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। লিগ টেবিলের অবস্থানের দিক থেকেই আজ জয়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ তাঁদের জন্য।
ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে লিগে পাঁচে ছিল ইউনাইটেড। ওদিকে প্রতিপক্ষ ওয়েস্টহাম ইউনাইটেডের অবস্থান চারে। ঘরের মাঠে জয় পাওয়াটা তাই জরুরি ছিল ইউনাইটেডের। রেড ডেভিলরা আকাঙ্ক্ষিত জয় পেয়েছে। তবে সেটা নিশ্চিত করতে অপেক্ষা করতে হয়েছে বহুক্ষণ। একদম নির্দিষ্ট করে বললে ৯২ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড। যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে মার্কাস রাশফোর্ডের গোলে ১-০ ব্যবধানের জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে যাওয়ার অবস্থানে চলে এসেছে ইউনাইটেড।
৯২ মিনিটে রাশফোর্ডকে দারুণভাবে গোলবঞ্চিত করেছেন জুমা। বল ক্লিয়ার করে ইউনাইটেডের অর্ধে প্রতি আক্রমণে ওঠার চেষ্টাও হয়েছে। কিন্তু সেটাই কাল হলো। আক্রমণে ওঠায় ওয়েস্টহামের রক্ষণ ফাঁকা হয়ে গেল, ওদিকে ইউনাইটেডের তিনজন খেলোয়াড় একসঙ্গে আক্রমণে উঠে গেলেন। বল প্রথমে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পা হয়ে গেল অ্যান্থনি মার্শিয়ালের কাছে। একটু আগেই দারুণ সুযোগ নষ্ট করা মার্শিয়াল এবারও দলকে ভোগাবেন বলে মনে হচ্ছিল।
বলটা ছাড়তে একটু দেরি করে ফেললেন মার্শিয়াল, তাতে বাঁ প্রান্তে এদিনসন কাভানি আরেকটুর জন্য অফসাইডে চলে যাচ্ছিলেন। কাভানি অবশ্য সেদিকে নজর না দিয়ে বলটা ধরেই দূরের পোস্টে বল পাঠিয়ে দিলেন। পোস্টের সামনে চলে আসা রাশফোর্ডকে শুধু টোকা দিতে হয়েছে।
এর আগপর্যন্ত আজ ইউনাইটেডকে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হবে বলে মনে হয়েছিল। রোনালদো, মেসন গ্রিনউড ও এলাঙ্গাকে আক্রমণের তিনে রেখে দল সাজিয়ে কোনো ফল পাননি রাংনিক। ম্যাচে ১৮ বার শট নিয়েছেন রোনালদোরা। এর মধ্যে মাত্র তিনটি শট ছিল গোলে। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক আরিওলাকে প্রথম পরীক্ষা দিতে হয়েছিল ৪৯ মিনিটে!
উপায় না দেখে একে একে রাশফোর্ড, মার্শিয়াল ও কাভানিকে মাঠে নামান রাংনিক। শেষ ১০ মিনিটে একের পর এক আক্রমণ করেও অবশ্য লাভ হচ্ছিল না। ওয়েস্টহামের রক্ষণ দৃঢ়তা দেখিয়ে হতাশ করছিলেন রোনালদোদের। কিন্তু একদম শেষ মুহূর্তে হেরে বসেছে দলটি। এই জয়ে ২৩ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে চারে চলে গেছে ইউনাইটেড। আর সমান ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট ওয়েস্ট হামের। যদিও ৪ ম্যাচ কম খেলে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে থাকা টটেনহামের তাদের টপকে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ২০ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে আর্সেনালও ইউনাইটেডকে পেছনে ফেলার আশায় আছে।