ফেডারেশন কাপের শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। রোববার কমলাপুরের বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে তারা ২-১ গোলে রহমতগঞ্জ মুসলিম এন্ড ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন শিরোপা লাভ করেছে। এই মৌসুমে এটি তাদের টানা দ্বিতীয় শিরোপা। দুই মৌসুম পর প্রতিযোগিতাটির শিরোপা ফিরে পেল নীল আকাশী জার্সির দলটি। ১১টি শিরোপা নিয়ে আগে থেকে ফেডারেশন কাপের রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করেছিল আবাহনী। এটি তাদের দ্বাদশ শিরোপা।
শুরু থেকেই শক্তিশালী আবাহনীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়তে থাকে ‘জায়ান্টকিলার’ রহমতগঞ্জ। বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি তারা। ম্যাচের ১২ মিনিটে সানডে চিজোবা, ১৪ মিনিটে ফিলিপ আজাহ দারুন দুটি সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হন। ম্যাচের ২৮ মিনিটে আবাহনীর হয়ে গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন নাবীব নেওয়াজ জীবন।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য লিড নিয়েই বিরতিতে যায় ধানমন্ডীর ক্লাব। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে (৪৫+১ মি.) ডেনিয়েল কলিনদ্রেসের গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী। রাকিব হোসেনের পাস থেকে বল পেয়ে বক্সের বাইরে থেকে তার বাঁ পায়ের প্লেসিং শট লক্ষ্যভেদ করেন তিনি (১-০)। ৬৪ মিনিটে আবাহনীকে দ্বিগুন ব্যবধানে পৌঁছে দেন রাকিব। নুরুল নাইম ফয়সালের রক্ষনচেরা পাসের বল বক্সে পেয়ে দুই কদম এগিয়ে শটের সাহায্যে রহমত গঞ্জের জালে জড়ান তিনি (২-০)।
তবে ৭০ মিনিটে একটি গোল পরিশোধের মাধ্যমে রহমতগঞ্জকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনেন আজাহ। শাহরিয়ার বাপ্পীর থ্রু পাসের বল কোনাকুনি শটে জালে জড়ান তিনি (২-১)। তবে বাকী গোলটি আর পরিশোধ করতে পারেনি পুরোন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী দলটি। ফলে রানারআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাদের।
চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ট্রফির পাশাপাশি নগদ ৫ লাখ টাকা অর্থ পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে আবাহনী। আর রানারআপ রহমতগঞ্জ লাভ করেছে ৩ লাখ টাকা।
আবাহনীর ডেনিয়েল কলিনদ্রেস অসাধারণ নৈপুন্য দেখিয়ে ম্যাচসেরা ও টুর্নামেন্ট সেরা নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার লাভ করেছেন আবাহনীর ডরিয়েল্টন ও রহমতগঞ্জের ফিলিপ আজাহ। ফেয়ার প্লে পুরস্কারেও ভুষিত হয়েছে চ্যাম্পিয়ন আবাহনী।