স্কোরকার্ড দেখলে প্রশ্ন জাগবে যে কারও মনে। মোসাদ্দেক হোসেনের বোলিং ফিগার ১-১-০-১। অন্তত আরেক ওভার কেন বোলিং পাননি তিনি? ম্যাচ শেষে সেটির কারণ ব্যাখ্যা করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে রোববার মোসাদ্দেক একাদশে জায়গা পান চোট পাওয়া মুনিম শাহরিয়ারের জায়গা। ত্রয়োদশ ওভারে তার হাতে বল তুলে দেন মাহমুদউল্লাহ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের তৃতীয় উইকেট জুটি তখন বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ। দারুণ খেলে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন ব্র্যান্ডন কিং ও নিকোলাস পুরান।
৭৪ রানের সেই জুটি ভাঙেন মোসাদ্দেক। প্রথম দুই বলে পুরানকে রান দেননি তিনি, তৃতীয় বলে রিভার্স সুইপ করার চেষ্টায় এলবিডব্লিউ হয়ে যান ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক। নতুন ব্যাটসম্যান আসেন রভম্যান পাওয়েল। আগ্রাসী এই ব্যাটসম্যানকেও প্রথম তিন বলে রান দেননি মোসাদ্দেক।
তবে দারুণ ওভারের পরও মোসাদ্দেকের বোলিংয়ের পালা ওখানেই শেষ। তার প্রান্ত থেকে পরের ওভারে বোলিংয়ে আনা হয় মুস্তাফিজুর রহমানকে।
মুস্তাফিজের এই ওভারটির পরই জ্বলে ওঠেন পাওয়েল। সাকিব আল হাসানের টানা চার বলে মারেন তিন ছক্কা ও এক চার। অপর প্রান্ত থেকে তখন তাসকিন আহমেদকে বোলিংয়ে আনেন মাহমুদউল্লাহ। তাকেও টানা দুই ছক্কায় ওড়ান পাওয়েল।
পাওয়েলের রুদ্রমূর্তি আর আরেক পাশে থিতু হয়ে যাওয়া ব্র্যান্ডন কিংয়ের সামনে মোসাদ্দেককে আর বোলিংয়েই আনেননি অধিনায়ক।
শুধু মোসাদ্দেকের বোলিংই নয়, চোখে পড়ার মতো ব্যাপার ছিল সাকিবকে ব্যবহার করার ধরণও। পাওয়ার প্লেতে এক ওভার বোলিং করে কেবল এক রান দিয়ে এক উইকেট নেন সাকিব। এরপর কিং ও পুরানের জুটি গড়ে উঠলেও সাকিবকে অনেকক্ষণ বোলিংয়ে দেখা যায়নি। দ্বাদশ ওভারে আবার তাকে আনা হয় আক্রমণে, ততক্ষণে জুটি হয়ে গেছে ৬৮ রানের।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে দুটি সিদ্ধান্তেরই কারণ ব্যাখ্যা করে মাহমুদউল্লাহ কৃতিত্ব দিলেন ২৮ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলা পাওয়েলকে।
“মোসাদ্দেককে অবশ্যই বোলিং করাতাম। তবে রভম্যান পাওয়েল যখন ব্যাটিংয়ে ছিল, দুজনই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিল, ওই পাশে ছোটও ছিল (সীমানা), এজন্য ঝুঁকিটা নেইনি।”
“ওই সময় তাসকিনকে বোলিংয়ে আনি, আরেক পাশ থেকে সাকিব বোলিং করছিল। সাকিবকেও কিছুটা পরে বোলিংয়ে আনি, যেহেতু পুরান (বাঁহাতি) ব্যাটিং করছিল। তবে আমার মনে হয় রভম্যান পাওয়েল অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। সে ম্যাচ আমাদের কাছ থেকে বের করে নিয়ে গেছে।”