এই রহস্যময় পৃথিবীতে বহু রকমের ফলের দেখা মিলে। এসব ফলের মধ্যে কিছু বৈচিত্রময়। এ রকম একটি ফলের নাম জিলাপি ফল। দেখতে অনেকটা জিলাপির মতো তাই এই ফল গ্রামের মানুষের কাছে জিলাপি ফল নামে বেশ পরিচিত। সাধারণত গ্রামাঞ্চলে এই ফল বেশী দেখা যায়।
কিন্তু সময়ের বিবর্তনে এই ফলটি আশুলিয়া থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্মের অনেকেই ফলটি এখন আর চেনে না। এনায়েতপুর গ্রামের ছামাদ নামের এক বাসিন্দা জানান, গত কয়েক দশক ধরে ইটভাটার মালিকেরা ভাটার খড়ি হিসেবে গাছটি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে দিন দিন এ গাছগুলো এসব এলাকা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিটি ফলে বীজদানা থাকে আট থেকে ১০টি। এই ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ থাকে কিন্তু পাকলে এর খোসা টকটকে লাল হয়ে ফেটে যায়।
ভেতরের সাদা শাঁস বেশি পাকলে অনেক সময় তাতে লালচে দাগ পড়ে। এর বীজ দেখতে শিমের বীজের মতো এবং বীজের রং অনেকটা কালো। এর শাঁস পুরু, নরম, মিষ্টি ও কস। জিলাপি ফলগাছের কাণ্ড ও শাখা-প্রশাখা লম্বা, এলোমেলো, বাকল ধূসর এবং তীক্ষ্ণ কাঁটাযুক্ত। এর পাতা সবুজ এবং পাতা জোড়ায় জোড়ায় সংযুক্ত থাকে। এ গাছের ফুল আকৃতিতে বেশ ছোট।
ফিলিপাইনে এ গাছ প্রধানত ফলের জন্য আবাদ করা হয়। আমাদের দেশে এই ফল এমনিতেই হয়ে থাকে। তবে অনেকেই শখ করে বাড়ির চার দিকে, রাস্তার পাশে এ ফলের গাছ লাগিয়ে থাকলেও এখন আর গাছটি আগের মতো চোখে পড়ে না।