গুগলের সিইও বলে কথা! মার্কিন গণমাধ্যমগুলো বলছে, সুন্দর পিচাইয়ের মোট সম্পত্তির পরিমান প্রায় ১.৩১ বিলিয়ন ডলার। ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা ক্লারা কাউন্টির লস অল্টোসে একটি পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত তার প্রাসাদতুল্য বাড়ি। এটি ৩১.১৭ একর জমি জুড়ে বিস্তৃত। বাড়িটির সৌন্দর্য কেবল এর অভ্যন্তরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এর মনোরম দৃশ্য এবং বিস্তৃত খোলা জায়গা এটিকে দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যে পরিণত করেছে।
এই বাড়ির মধ্যে রয়েছে একটি ইনফিনিটি পুল, একটি জিমনেসিয়াম, একটি স্পা, একটি ওয়াইন সেলার, সোলার প্যানেল। এমনকি আয়াদের জন্য একটি পৃথক স্থানসহ সমসাময়িক সুযোগ-সুবিধার সব কিছু এখানে রয়েছে।
জানা যায়, বাড়ির অভ্যন্তরটি ব্যক্তিগতভাবে সুন্দরের স্ত্রী অঞ্জলি পিচাই ডিজাইন করেছিলেন।তিনি এটির সজ্জায় প্রায় ৪৯ কোটি রুপি ব্যয় করেছেন। অভ্যন্তরীণ নকশা নিঃসন্দেহে অতি-বিলাসী। গুগল সিইও ৪০ মিলিয়ন ডলারে প্রাসাদটি অধিগ্রহণ করেছিলেন এবং কয়েক বছর ধরে এর মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে ২০২২ সালে প্রায় ২২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্যাকেজ পেয়েছেন গুগল ও এর মাতৃপ্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট-এর সিইও সুন্দর পিচাই। বেতন, সুযোগ-সুবিধা ও শেয়ার (স্টক অ্যাওয়ার্ড) মারফত পুরোটা পেয়েছেন ভারতের আইআইটি খড়গপুরের প্রাক্তন এই শিক্ষার্থী।
অনেকে অবশ্য একজন সিইওর সঙ্গে সংস্থার কর্মীদের বেতনের এতটা পার্থক্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। সম্পদের অসম বণ্টনের দাবি করছেন তারা। হিসাব অনুযায়ী, সুন্দর পিচাইয়ের এই মোট বেতন একজন গড় গুগল কর্মীর বেতনের প্রায় ৮০০ গুণ।
আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, সম্প্রতি খরচ কমানোর প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করেছে গুগল। আর তার অংশ হিসেবে বিশ্বজুড়ে প্রায় ১২ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করেছে তারা। এমন পরিস্থিতিতে সিইওর এত বেশি বেতন নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
তবে পাল্টা কথাও বলছেন অনেকে। তাদের মতে, গুগলের সিইও হিসেবে বিশ্বের প্রযুক্তি জগতের ভবিষ্যতের অন্যতম দিশারী সুন্দর পিচাই। তার সিদ্ধান্তের উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। তাছাড়া গুগলের পরিকল্পনা, গোপনীয়তা, দীর্ঘমেয়াদী ভাবনা ইত্যাদি অনেককিছুই পিচাইয়ের উপর নির্ভরশীল। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এমন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে সংস্থায় ধরে রাখতে চড়া বেতন দিতেই হবে। নয়তো তাকে নেওয়ার জন্য বিশ্বের আরও তাবড় সংস্থা মুখিয়ে আছে।