× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

অবশেষে নদীভাঙন থেকে মুক্তি পাচ্ছে মেঘনা পাড়ের ৪ গ্রামের মানুষ

আবুল হাসনাত অপু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

২২ জানুয়ারি ২০২৩, ০৬:১৭ এএম । আপডেটঃ ২২ জানুয়ারি ২০২৩, ০৬:১৮ এএম

নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের মেঘনা নদীর বাম তীর সংরক্ষণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন আর ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাতে হবে না নদীর তীরের বাসিন্দাদের। ফলে নতুন করে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখছেন নদীর পাড়ের মানুষ।

জানা যায়, মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙনের হাত থেকে বড়িকান্দি ইউনিয়নের চারটি গ্রাম রক্ষায় ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে ৭২ কোটি ১১ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে বড়িকান্দি বাধঁ থেকে প্রায় দুই হাজার ১৬৫ মিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীর বাম তীর সংরক্ষণের উদ্যোগ নেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবদুল করিম বুলবুল। এই কাজ এখন শেষের দিকে।

বড়িকান্দি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য হুমাযুন কবীর বলেন, ‘আমার ২০ কানি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আমাদের নুরজাহানপুর গ্রামের প্রায় ৩০০ কানি কৃষি জমি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এখন নদীতে স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণ করায় আমাদের গ্রামের ঘর-বাড়িসহ বহু কৃষি জমি রক্ষা পায়। এখন আমাদের মনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।’

সোনাবালুয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘প্রায় দুই হাজার ভোটার নিয়ে গঠিত সোনাবালুয়া গ্রামটি বহু আগেই নদীতে হারিয়ে গেছে। এখন অবশিষ্ট ৯০-১০০টি পরিবার নদীর তীরবর্তী এলাকায় বসবাস করছে। বাকিরা দিশেহারা হয়ে পরিবার নিয়ে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। ব্লক স্থাপনের ফলে বসতভিটাসহ আমাদের গ্রামের ১০০টি পরিবার নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পায়। এখন ওই বসতভিটায় নতুন ঘর নির্মাণ করে পরিবার নিয়ে স্বস্তিতে বসবাস করছি।’

এ বিষয়ে বড়িকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান লাল মিয়া বলেন, ‘বড়িকান্দি ইউনিয়নের প্রায় আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার বিঘা জমি নদীতে হারিয়ে গেছে। মেঘনার তীব্র ভাঙনে এলাকার অনেক পরিবার তাদের ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছিলেন। যারা নদীর পাড়ে বসবাস করছিল তাদের মধ্যে সবসময় ভাঙন আতঙ্ক ছিল। এখন সিসি ব্লক স্থাপন করায় মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের এমপি মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুলের নিরলস প্রচেষ্টায় বড়িকান্দি ইউনিয়নের মানুষ নদীভাঙন থেকে রক্ষা পেয়েছে।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ইতোমধ্যে কাজের ৭৬ শতাংশ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের মোট দুই হাজার ১৬৫ মিটারের মধ্যে ১৫০০ মিটার ব্লক প্লেসিং কাজ দৃশ্যমান হয়েছে। বর্তমানে ব্লক কাস্টিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পের কাজ ২০২৩ সালের জনু মাসের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

নবীনগরের স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যখনই রাষ্ট্র পরিচালনার দ্বায়িত্ব গ্রহণ করে তখনই অবহেলিত এলাকার উন্নয়ন হয়। আমার নির্বাচনী এলাকা নবীনগরের বড়িকান্দি ৭২ কোটি ১১ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে মেঘনা নদীর বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে এই এলাকার মানুষের দীর্ঘ দিনের চোখের পানি মুছে, হাসি ফুটবে। এতে জানমালের নিরাপত্তার পাশাপাশি আর্থিক স্বচ্ছলতাও ফিরে আসবে।’ এমপি এবাদুল করিম আরও জানান, নবীনগর সদর শহর রক্ষা বাঁধ থেকে বড়িকান্দি লঞ্চঘাট পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার এলাকা নদী ভাঙন রক্ষায় প্রায় ৬০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.