× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

জলবায়ু পরিবর্তন ও বাংলাদেশে এর প্রভাব

হালিমাতুস সাদিয়া

২৬ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:০৭ এএম

জলবায়ু সংকট বর্তমান বিশ্বের অন্যতম একটি বড় সমস্যা এবং দিন দিন এর প্রভাব পৃথিবীর ওপর উদ্বেগজনক মাত্রায় বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি  নেতৃস্থানীয় মার্কিন জলবায়ু বিজ্ঞানীদের এক প্রতিবেদন বলেছে যে, ২০২১ সাল ছিল বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ মানুষের জন্য সর্বোচ্চ  উষ্ণতার বছর। জলবায়ু পরিবর্তন জীবিকা, অবকাঠামো এবং আবাসন ধ্বংস করছে, মানুষকে তাদের বাড়ি, শহর এমনকি দেশ থেকে বাধ্য করছে। শুধু ২০১৬ সালে চরম আবহাওয়া বিপর্যয়ে সারাবিশ্বে প্রায় ২৩.৫ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আর এসব ক্ষতিকর প্রভাবের প্রথম সারিতে রয়েছে বাংলাদেশ।

প্রতিকূল ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। সমতল এবং নীচু ভূমি, জনসংখ্যার ঘনত্ব, দারিদ্র্যের উচ্চ হার, জলবায়ু সংবেদনশীল খাত, বিশেষ করে কৃষি ও মৎস্যসম্পদে অনেক জীবিকার নির্ভরতা এবং অদক্ষ প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার কারণে ঝুকিরমাত্রা অনেকাংশে বেড়ে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাব যেমন সমুদ্রপৃষ্ঠের উ”চতা বৃদ্ধি, উচ্চ তাপমাত্রা বর্ধিত মৌসুমী বৃষ্টিপাত এবং ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা বৃদ্ধি, বিদ্যমান সমস্যাগুলিকে আরও বাড়িয়ে তুলবে যা ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে। এছাড়াও বিপুল সংখ্যক জনসংখার দেশে প্রতিকূল পরিবেশ পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা হ্রাস করে । এসব প্রভাব দেশের অর্থনীতি, পরিবেশ, জাতীয় উন্নয়ন এবং জনগণের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে।

বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। জনসংখ্যার ঘনত্ব এবং অপর্যাপ্ত অবকাঠামো এসব বিপর্যয় জাতিকে বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এছাড়াও কৃষির উপর নির্ভরশীল অর্থনীতি, প্রতিকূল আবহাওয়া সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে ব্যাপকভাবে বিপন্ন করে তুলছে। ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের তাপমাত্রা প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাবে বলে আশংকা করা হচ্ছে। ২০৪০ -২০৫৯ সালের মধ্যে, বার্ষিক বৃষ্টিপাতও ৭৪ মিলিমিটার বৃদ্ধি হতে পারে জলবায়ূবিদরা আশংকা করছেন। ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের পরিস্থিতি তীব্র হওয়ার সাথে সাথে আরও বেশি লোক তাদের বাড়িঘর এবং জমি থেকে বিতাড়িত হবে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উ”চতা বৃদ্ধি, ঝড়, ঘূর্ণিঝড়, খরা, ভাঙন, ভূমিধস এবং বন্যা ইতোমধ্যেই বিপুল সংখ্যক মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে।

আমাদের অর্থনীতি প্রধানত কৃষির উপর নির্ভরশীল। কৃষিভিত্তিক উৎপাদনের জন্য আমাদের ছিলো যথাযোগ্য তাপমাত্রা, ছয়টি আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্যমন্ডিত ঋতু কিন্তু দিনে দিনে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ষড়ঋতু হারিয়ে যেতে বসেছে এবং তার সাথে সাথে বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা সবকিছুতে আমূল পরিবর্তন আসছে। ফলে অনিয়মিত ও অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত, সেচের পানির অপর্যাপ্ততা, উপকূলীয় অঞ্চলে বর্ষা মৌসুম ছাড়াও বিভিন্ন সময় উপকূলীয় বন্যা ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উ”চতা বৃদ্ধিতে লবণাক্ত পানিতে জমি ডুবে যাওয়ার মতো নানাবিধ সমস্যায় বাংলাদেশের কৃষির ভবিষ্যৎ চরম হুমকির মুখে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশ নির্ভর উপজীবীরা তাদের জীবিকা হারিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়বে। এতে দেশে বেকার সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করতে পারে।

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রায় ৪ হাজার বর্গকিলোমিটার ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১ হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা আকস্মিক বন্যার শিকার। মৌসুমি বন্যা উপকূলীয় এলাকায় সমস্যার সৃষ্টি করে না। কিন্তু বন্যাপ্রবণ এলাকায় এর প্রভাব খুব বেশি। এটি ফসল ছাড়াও জানমালের ব্যাপক ক্ষতি করে। জোয়ারজনিত বন্যা উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি করে। জমিতে লবণাক্ত পানির জলাদ্ধতার সৃষ্টি করে, যা ফসল চাষের জন্য অনুপযোগী। বাংলাদেশ পানিসম্পদে সমৃদ্ধ হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অতিবৃষ্টি, বন্যা ও জলাবদ্ধতার প্রকোপ ক্রমাগত বাড়ছে। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ১.৫ মিলিয়ন হেক্টর জমি প্রতি বছর বন্যাকবলিত হয়। বাংলাদেশের গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২৩০০ মি.মি এবং অঞ্চল ভেদে তা ১২০০ মি.মি (দক্ষিণ-পশ্চিম) থেকে ৫০০০ মিলিমিটার (উত্তর-পূর্বাঞ্চল) পর্যন্ত হয়ে থাকে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়ছে এবং ২০৩০ সনে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১০-১৫ শতাংশ এবং ২০৭৫ সনে প্রায় ২৭ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম একটি হলো বাসস্থানের নিশ্চয়তা। পরির্তিত জলবায়ু পরিস্থিতি মানুষের বাসস্থানকে দিন দিন বিপর্যস্ত করে তোলছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যার ২৮ ভাগ উপকূলে বাস করে যেখানে বাসÍুচ্যুতির প্রাথমিক কারণ সমুদ্রপৃষ্ঠের উ”চতা বৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস। বাংলাদেশের দুই-তৃতীয়াংশ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে পাঁচ মিটারের কম। অনুমান করা হচ্ছে যে, ২০৫০সালের মধ্যে বাংলাদেশে প্রতি সাতজনের একজন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত হবে। শুধুমাত্র সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে ১৮ মিলিয়ন লোককে নিজ আবাস ছাড়তে হতে পারে। ২০৫০ সাল নাগাদ, সমুদ্রপৃষ্ঠের উ”চতা ৫০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধির সাথে সাথে, বাংলাদেশ তার ভূমির প্রায় ১১% হারাতে পারে, যা এর নিচু উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী আনুমানিক ১৫ মিলিয়ন মানুষকে প্রভাবিত করবে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উ”চতা বৃদ্ধির ফলে আবাদি জমি লবণাক্ত হয়ে যাচ্ছে এবং উপকূলীয় পানীয় জলের সরবরাহ লবণ দ্বারা দূষিত হচ্ছে। ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসরত মানুষের জীবিকা ও তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ এবং চর্মরোগের মতো স্বাস্থ্যঝুকি বেড়েই চলছে।

জলবায়ু বিপর্যয়ের কারণে নদীভাঙনের হারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। শহুরে বস্তিতে বসবাসরত মানুষের মধ্যে ৫০ ভাগই নদীভাঙনের শিকার ফলে তারা তাদের গ্রামীণ বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এছাড়াও উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড়ের ক্রমবর্ধমান তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে যা মানুষের জীবনহানিসহ ঘরবাড়ি, সম্পত্তি ও অবকাঠামোর ক্ষতি এবং কৃষি ও অন্যান্য জীবিকাকে ব্যাহত করে। এছাড়াও প্রতিদিন ১০০০-২০০০ লোক বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় পাড়ি জমায়। ২০১২ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা যায় যে, শুধুমাত্র ঢাকা শহরেই ১৫০০টি পরিবার অভিবাসনের জন্য পরিবর্তিত পরিবেশকে প্রধান কারণ হিসাবে উল্লেখ করেছে।

বাংলাদেশের নদী ও চর অঞ্চলে যারা বসবাস করে তারা বিশেষ করে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এই দ্বীপগুলোর জনসংখ্যা চার মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে যাদেরকে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে হুমকির সম্মুখীন বলে চিহ্নিত করেছে । বৃষ্টিপাতের ধরণ পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে দেশের শুষ্ক উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলগুলি রয়েছে চরম খরার ঝুঁকিতে যা ফসলের ধ্বংস এবং জীবিকার জন্য প্রধান হুমকি। জলবায়ু পরিবর্তনের অগ্রগতির সাথে সাথে এসকল ঝুঁকি আরও গুরতর হবে বলে আশংকা করা হচ্ছে। দেশের পার্বত্য উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান অনিয়মিত বৃষ্টিপাত ভূমিধসের সৃষ্টি করে যার ফলে অসংখ্য বাড়িঘর ও সম্পত্তি ধ্বংস হয় এবং মানুষ বাসস্থান  হারায়।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে নানারকম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশের মানুষ। শ্বাসকষ্ট, হিটস্ট্রোক বা গরমজনিত মৃত্যু কিংবা তীব্র ঠান্ডাজনিত মৃত্যু ইত্যাদি এখন খুব সাধারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভূমন্ডলীয় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রভাবিত হবে বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থা। উপকূলীয় এলাকায় বর্ধিত হারে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিপুল সংখ্যক মানুষ। এসকল আশ্রয়হীন উদ্বাস্তুরা আশ্রয় নিচ্ছে নিকটবর্তী বড় শহরগুলোতে কিংবা রাজধানী শহরে। ফলে বাড়ছে সেসব শহরের জনসংখ্যা। বাড়তি জনসংখ্যার চাপ সামলাতে সেসব শহরগুলো হিমশিম খাচ্ছে। অতিরিক্ত জনসংখ্যার জন্য আয়ের অতিরিক্ত উৎস তৈরি না হওয়াতে মানুষ বেছে নেয় নানা অপকর্মের পথ। সমাজে দেখা দেয় বিশৃঙ্খলা এবং আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে থাকে দিনের পর দিন।

বাংলাদেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের তিন জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা ও ভোলায় জলবায়ু পরিবর্তন ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলছে। ঘন ঘন দুর্যোগের সম্মুখীন হচ্ছে এই জেলাগুলো। বঙ্গোপসাগরের উপকূল ঘেঁষে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি সংকটকে আরও ঘনীভুত করছে। পানির লবণাক্ততাও একটি প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপকূলের অনেক এলাকা এখন এই সমস্যায় আক্রান্ত।

অতিরিক্ত গরমও জলবায়ু পরিবর্তনের এক ধরনের প্রভাব। এতে ফসল নষ্ট হয়ে মানুষের জীবিকা সংকটের মুখে পড়ে। প্রতি পাঁচ বছরে একবার খরার কারণে বিপদে পড়ে আমাদের দেশের মানুষ, আর এক্ষেত্রে দেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের বাসিন্দারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব লোকালয়ের শিশুদের ঝুঁকি বড়দের চেয়ে বেশি। গরম ও অন্যান্য জলবায়ু সংক্রান্ত সমস্যার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার সক্ষমতা বড়দের তুলনায় তাদের কম। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ায় তাদের ডায়রিয়া ও অন্যান্য প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। পুষ্টিহীনতায় ভোগারও ঝুঁকি থাকে এসব শিশুদের। দুর্যোগে স্কুল, সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।  

জলবায়ূ সমস্যা মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আশানুরূপ ফল বয়ে আনতে পারে। বাংলাদেশ উপকূলীয় অঞ্চলে ম্যানগ্রোভের সংরক্ষণের পাশাপাশি পুনরায় বৃক্ষ রোপণ করতে পারে, যেটি পরিবেশকে কার্বনমুক্ত করার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ের বিরুদ্ধে একটি প্রাকৃতিক ঢাল হিসেবেও কাজ করবে। কিন্তু এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল, কারণ এই ব্যবস্থায় প্রতিবছর প্রায় ৪০ কিলোমিটার উপকূলরেখায় ম্যানগ্রোভ রোপণ করতে হবে।

এছাড়াও আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা তৈরি করা এবং আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলা, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে যেখানে মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। অনেকে বর্তমান আশ্রয়কেন্দ্রগুলো ব্যবহার করে না, কারণ সেখানে তারা তাদের গবাদিপশু ও অন্যান্য মূল্যবান প্রাণিসম্পদ রাখার ব্যবস্থা করতে পারে না, তাই প্রস্তাবিত কাঠামো মানুষ এবং গবাদিপশু উভয়ের বাসস্থানের ব্যবস্থা করবে। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ৫৩০টি আশ্রয়কেন্দ্রের প্রয়োজন। সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ নিশ্চিত করার জন্য এমন একটি সর্বজনীন সমাধান দরকার, যাতে  জনগণ নিজেরাই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ভালোভাবে মোকাবিলা করতে পারে।

জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা বিশেষ কোনো দেশ বা জনগোষ্ঠীর নয়, এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। বিশ্বের দেশে দেশে পরিবেশদূষণ, বন্যা, দাবদাহ, নতুন নতুন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার আগমন, সামুদ্রিক প্রাণীর খাদ্য, উদ্ভিদের ক্ষতি সবকিছুই তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও ইকোসিস্টেমের ভারসাম্যহীনতার ফল। পরিবেশদূষণের বিরূপ প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের জনজীবনের ওপর। পরিবেশ সংরক্ষণ, উন্নয়ন, দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রশমনের লক্ষ্যে দ্রুত সক্রিয় হতে হবে। সভা সমিতি নয় বরং প্রয়োজন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন । গাছ কাটার পরিবর্তে করতে হবে বৃক্ষরোপণ। পোড়া ইট তৈরি, স্বাস্থ্যের জন্য হানিকর ধোঁয়া বা ক্ষতিকর গ্যাস নিঃসরণকারী যানবাহন বাতিল করতে হবে। এখন প্রয়োজন নদী, খাল, বিল, হাওর, বাঁওড়, দিঘি, পুকুর, ঝরনা বা জলাশয় সংরক্ষণ করা। ভারসাম্যহীনতা বিশ্বজগতের জন্য একটি বিরাট হুমকি, সে কারণে মানব ও প্রাণি জগতের অস্তিত্ব চরম সংকটে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি হোক।মানুষের সচেতনতাই পারে বিশ্বকে রক্ষা করতে।



Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.