চা বাগানে সারি সারি গাছের সঙ্গে পেচানো লতা। দেখলে মনে হয় পানের পাতা। অনেকেই পানের পাতা ভেবে খেতেও চান। আসলে তা গোলমরিচের গাছ। এমন দৃশ্য দেখা গেছে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার রাজনগর চা বাগানের বাংলো এলাকায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লম্বা লম্বা গাছের সাথে পান পাতার মতো গোলমরিচ জড়িয়ে আছে। দেখে বলার উপায় নেই এটি গোলমরিচের গাছ। পাতার ফাঁকে ফাঁকে দেখা যাচ্ছে কাচা গোলমরিচের ফল।
বাগান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২২ বছর ধরে এখানে গরম মসলা জাতীয় গোলমরিচের চাষ হয়ে আসছে। ৫০টি গাছে গোলমরিচ লাগানো হয়েছে। ফাল্গুন মাস এলে মরিচ পরিণত হয়। প্রতিবছর ১ মণ গোলমরিচ বাগান থেকে সংগ্রহ করা হয়।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলায় গোলমরিচ চাষের প্রদর্শনী প্রকল্প করা হয়েছিল। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানেও গোলমরিচ চাষ করা হয়েছে।
রাজনগর চা বাগানের শ্রমিক ভীম দুছরা ও অমূল্য নাইডু বলেন, ‘গোলমরিচের লতাগুলো যে কোনো গাছের সঙ্গে পেচিয়ে দিলেই হয়। আগস্ট থেকে ফল আসতে শুরু করে। ফেব্রুয়ারি মাসে পরিণত হয়। এ সময় পাকা গোলমরিচ সংগ্রহ করা হয়।’
রাজনগর চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের বাগানে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ শুরু হয়। বর্তমানে প্রসার হয়েছে। বাগানের মাটি গোলমরিচ চাষের উপযোগী। খালি জায়গায় সেড দিয়ে গোলমরিচের গাছ লাগানো যায়।’
মৌলভীবাজার কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামছুদ্দিন আহমদ বলেন, ‘মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে গোলমরিচ চাষের প্রদর্শনী প্রজেক্ট করা হয়েছে। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানেও চাষ হচ্ছে। এ ছাড়া রাজনগরসহ জেলার বিভিন্ন চা বাগানে ১০০ হেক্টর জমিতে গোলমরিচ চাষ হচ্ছে।’