× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

১৬ বছরেও চালু হয়নি রশিকপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়

মেহেরপুর প্রতিনিধি

২২ জানুয়ারি ২০২২, ০৪:৪৩ এএম । আপডেটঃ ২২ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:৫৮ এএম

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলায় মামলা জটিলতায় এখনো আলোর মুখের দেখা পায়নি  কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত রশিকপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়। রশিকপুরসহ আশেপাশের গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থীকে লেখাপড়া করতে যেতে হয় ৫-৭ কি.মি দূরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে।

১৬ বছর আগে নির্মাণ সম্পন্ন হলেও চালু না হওয়ায় বিদ্যালয়ের আসবাব পত্র চুরি হয়ে গেছে, বিদ্যালয়ে ভবনের ভিতরে রাতের আধারে বসে মাদকের আড্ডা।অথচ নিজ গ্রামেই দ্বিতল ভবনের একটি বিদ্যালয় দাঁড়িয়ে আছে।

জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে জানাগেছে, ২০০৩ সালে সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন বিঘারও বেশি জমিতে নির্মাণ করে বিদ্যালয়ের ভবন। বিদ্যালয়টির নাম দেওয়া হয় রশিকপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ২০০৩ সালে দেশের ৫৪টি উপজেলায় এ প্রকল্পের আওতায় ৫৪টি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর মধ্যে রশিকপুর ব্যতিত বাকি ৫৩টি বিদ্যালয় এমপিওভুক্ত হয়েছে।

স্থানীয় গ্রামবাসী জানান, বিদ্যালয়টি করার জন্য স্থানীয় সুলতান শেখ তার স্ত্রী আম্মাতন নেছার নামে থাকা তিন বিঘা ৫কাঠা, আমির শেখ ১০ কাঠা এবং রতন শেখ ১০ কাঠা জমি দিয়েছিলেন। আম্মাতন নেছার  তিন বিঘা জমির পরিবর্তে আবাদি পাঁচ বিঘা জমি দেওয়ার কথা ছিল। কিš‘ তৎকালীন স্কুল কমিটি জমি না দেওয়ার কারণে জমিদাতা আম্মাতন নেছা বাদি হয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা করেন। দির্ঘ ১৫ বছর মামলা চলার পরে কিছুদিন আগে মামলাটি নিস্পত্তি হয়।
জমির মালিক আম্মাতন নেছা বলেন, ‘তিন বিঘা আমবাগানের গাছ কেটে আমি বিদ্যালয় নির্মার্ণের জমি দিয়েছিলাম। তৎকালীন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি সঙ্গে কথা ছিল ওই জমির বদলে মাঠে আবাদি পাঁচ বিঘা জমি কিনে দেবে তারা। কিš‘ বিদ্যালয় নির্মাণ করার পরে জমি না পাওয়ায় আমি ২০০৪ সালে আদালতে মামলা করি। তবে মামলাটি নিস্পতি হয়েছে এমন তথ্য আমি জানিনা।’
 
মেহেরপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজুল হোসেন বলেন মামলা নিষ্পত্তির বিষয়ে বা স্কুল চালু করার বিষয়ে নতুন কোন তথ্য জানেন না।

মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত বিষয়ে দির্ঘদিন মামলা থাকার কারনে স্কুলটি চালু করা সম্ভব হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে মামলাটি নিষ্পত্তি হয়েছে। এখন চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব স্কুলটি চালু করতে। ইতমধ্যে ইউএনও  এবং শিক্ষা বিভাগ আইনই প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এছাড়া জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে সকল জটিলতা নিরসনের মাধ্যমে স্কুলটি দ্রুততম সময়ে যাতে চালু করা যায় তার ব্যবস্থা করতে।’







Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.