× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

সেতুর দুই পাশে দোকান, ভোগান্তিতে পথচারীরা

ত্রিশাল প্রতিনিধি

২০ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:৫২ এএম । আপডেটঃ ২১ জানুয়ারি ২০২২, ০০:৪৩ এএম

ত্রিশাল পৌরসভার মূল সড়কে সেতুর দুই পাশ দখল করে বসছে অবৈধ দোকান। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। সুতিয়া নদীর ওপর তৈরি এই সেতু দখল করে ব্যবসায়িরা নিয়মিত দোকান বসিয়ে এলেও কর্তৃপক্ষের কোনো নজর নেই।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌরসভার মূল সড়কের ওপর সুতিয়া নদীতে তৈরি সেতু দখল করে কিছু লোক অবৈধভাবে দোকান বসিয়ে ব্যবসা করছেন। পথচারীদের সেতু পারাপারে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। যানবাহনের চাপ বাড়লেই সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

সেতুর দুই পাশে শাড়ি, লুঙিসহ বিভিন্ন পোশাকের দোকানও রয়েছে। এখানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন মসলা জাতীয় ভোগ্যপণ্যও বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন মৌসুমি ফল ও দ্রব্যাদি বিক্রি হয় বলে জানিয়েছেন পথচারীরা।

এ ছাড়া মূল সড়কের ফুটপাত দখলে নিয়ে কিছু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি নিয়মিতই অবৈধ দোকান নিয়ে বসেন। এই দোকানগুলোর কারণে পথচারীদের মূল সড়ক দিয়ে হেঁটে সেতু পার হতে হয়। এতে মূল সড়কে চলাচলকারী যানবাহন পড়ছে জটে।

বাজার করতে আসা সুমন বলেন, সপ্তাহের প্রতিদিনই দোকানপাট বসানো হয় এখানে। এই সড়কে অতিমাত্রায় যানবাহন চলাচল করে। এ কারণে নির্বিঘ্নে পায়ে হেঁটে চলাও দুষ্কর হয়ে যায়। এভাবে অস্থায়ী দোকান-পাট বসানোয় যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

মো. তোফাজ্জল হোসেন নামে জনৈক ব্যক্তি বলেন, ‘আমার বাজারে খুব বেশি আসা হয় না। আজ পরিবারের বিশেষ প্রয়োজনে আসতে হলো। তবে পায়ে হেঁটে এই ব্রিজ পাড়ি দিতে অনেক কষ্ট হয়েছে। এখানে রাস্তার পাশে দোকান থাকাটা সমীচীন নয়।থ

পথচারী মো. ইমরান হোসেন বলেন, ‘এই ব্রিজের ওপর দোকানপাট বসার কারণে দীর্ঘ যানজট তৈরি হচ্ছে। এ কারণে আমাদের মতো পথচারীদের চলাচল করা কষ্ট হয়ে পড়ে। তবুও কী আর করা। প্রয়োজনের তাগিদে চলাচল তো করতেই হবে।

রিকশাচালক দুলাল মিয়া বলেন, মানুষ মূল রাস্তার ওপর দিয়ে চলাচল করে। হর্ন বাজালেও তাদের সরার জায়গা থাকে না। মূল রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলা ও ভারী যানবাহনের কারণে পাঁচ মিনিটের রাস্তা ৩০ থেকে ৪০ মিনিটে অতিক্রম করতে হয়।থ

বিক্রেতা কয়েকজন বলেন, ব্রিজ ও ফুটপাতের ওপর বসে দোকানদারি করা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। তবুও কী আর করা। জায়গা না পেয়ে বাধ্য হয়ে বসতে হয়।

এ বিষয়ে ইউএনও মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘আমি যোগদানের পরই এই বিষয়টি লক্ষ করছি। এ অবৈধ দোকানগুলোর জন্য স্বাভাবিক চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। যেহেতু এটি পৌরসভার এরিয়া তাই ইতিমধ্যে পৌরসভার মেয়র মহোদয়কে জানিয়েছি। ওনার সহযোগিতা নিয়ে অচিরেই উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো হবে।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.