যশোরে ক্রমশ উর্ধগতির রুপ ধারন করছে করোনা সংক্রমন। গত সাত দিনে যশোর জেলায় মোট ২২৫ জনের আরটিপিসিআর ও র্যাপিট এন্টিজেন্ট পরীক্ষা করে ২৮ জনের শরীরে করোনা সনাক্ত হয়েছে। চলতি বছরের শুরু থেকে করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন।
এদিকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ওমিক্রন ঊর্ধ্বমুখি হওয়ায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে যশোর স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে গত এক সপ্তাহে তিন জন করোনা পজিটিভ রোগী বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে জেলাতে প্রবেশ করেছে। তবে উদ্বেগের কোন কারণ নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
যশোর সিভিল সার্জন অফিস সুত্রে জানা যায়, গত ১ জনুয়ারি যশোরে শুধু মাত্র ৮ জনের র্যাপিট এন্টিজেন্ট পরীক্ষা করে সব কয়টি নেগেটিভ আসে। এরপর ২ জানুয়ারি ২৫ জনের আরটিপিসিআর ও ৫ জনের র্যাপিট এন্টিজেন্ট পরীক্ষা করে আরটিপিসিআরে এবছর সর্বপ্রথম ২জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে।
এরপর থেকে প্রতিদিনের পজিটিভ সংখ্যায় গত সাত দিনে জেলায় ২২৫ জনের আরটিপিসিআর ও র্যাপিট এন্টিজেন্ট পরীক্ষা করে সর্বোমোট ২৮ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে এবং শনাক্তের হার দাড়িয়েছে ১২.৪ শতাংশ।
এদিকে গত সাত দিনে ভারত ফেরত তন্ময় (২৪), আব্দুল্লাহ (৫২), হাবিবুল্লাহ (২৫) হাবিবুর রহমান (৫০) ও মশিয়ার রহমান (৫৫) অর্থাৎ ভারত ফেরত তিন জন সহ মোট পাঁচ জন যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রেড জোনে ভর্তি হয়েছেন।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও করোনা ওয়ার্ডে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. তৌহিদুর রহমান জানাম, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ওমিক্রন ঊর্ধ্বমুখি। সেখানে বাংলাদেশের মানুষ চিকিৎসা শেষ করে করোনা পজিটিভ নিয়ে প্রবেশ করছেন। তাদের চিকিৎসা এই হাসপাতালেই দেওয়া হচ্ছে এবং এরপরেও রোগী আসলে এখানেই চিকিৎসা দেওয়া হবে।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আরিফ আহম্মেদ এ ব্যাপারে বলেন, জেলায় করোনার সংক্রামণ বাড়লেও তা প্রতিরোধ করার সক্ষমতা হাসপাতালের রয়েছে। ইতিমধ্যে করোন রেড ও ইয়েলো জোন প্রস্তুত করা হয়েছে।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। কিন্তু যশোরে সহনীয় আছে। তবে মানুষকে সচেতন হতে হবে। ভারত থেকে যে সকল পজিটিভ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর সুযোগ নেই।