৩ ডিসেম্বর নয়, তিন দিন পিছিয়ে আগামী ৬ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের জাতীয় সম্মেলন হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি জানান, ছাত্রলীগের অভিভাবক আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেদিন সম্মেলন অনুষ্ঠানের সম্মতি দিয়েছেন।
রোববার পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ তথ্য জানান ক্ষমতাসীন দলের নেতা।
গত ৪ নভেম্বর ক্ষমতাসীন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান জানিয়েছিলেন, আগামী ৩ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সম্মেলন হতে যাচ্ছে।
ছাত্রলীগের সবশেষ ২৯তম সম্মেলন হয় ২০১৮ সালের মে মাসে। ওই বছরের জুলাইয়ে সংগঠনের সভাপতি হিসেবে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পান গোলাম রাব্বানী।
কিন্তু নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে সংগঠনের শীর্ষ পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন শোভন ও রাব্বানী।
পরে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব বর্তায় আল নাহিয়ান খান জয়ের ওপর। আর লেখক ভট্টাচার্যকে দেয়া হয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব।
২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জয় ও লেখককে ‘ভারমুক্ত’ করে পূর্ণ দায়িত্ব দেয়া হয়। এখন পর্যন্ত তারা ওই পদে থেকে দায়িত্ব পালন করছেন।
ছাত্রলীগকে দ্রুত সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার নির্দেশ দেয়া হলেও জয় ও লেখক নানাভাবে তা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টার করছেন বলে সংগঠনের ভেতর থেকেই অভিযোগ ওঠে। তবে সম্মেলন করার বিষয়ে শেখ হাসিনা নির্দেশ দিলে সেই চেষ্টা থেমে যায়। এরই মধ্যে নেতৃত্বে আসতে সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা দেন দরবার করছেন।