দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই) ২০২১ প্রকাশ করতে যাচ্ছে বার্লিনভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল। আজ এ উপলক্ষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করবে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
টিআইবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বার্লিনভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) কর্তৃক পরিচালিত দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই) ২০২১ এর বৈশ্বিক প্রকাশ উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই) ২০২০ প্রকাশ করা হয়। টিআই কর্তৃক প্রকাশিত সূচকে বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে ‘সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ অবস্থানে ছিল ১২তম।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে বাংলাদেশের অবস্থানের দুই ধাপ অবনমন ঘটে। তবে স্কোর ছিল আগের মতোই।
বিশ্বের ১৮০টি দেশ ও অঞ্চলের ২০২০ সালের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে তৈরি করা সূচকে স্কোর ছিল ২৬। বাংলাদেশের ১০০ এর মধ্যে ২৬ পায়। ঊর্ধ্বক্রম অনুযায়ী (ভালো থেকে খারাপ) বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৬ নম্বরে। উল্টোভাবে, অধঃক্রম (খারাপ থেকে ভালো) অনুযায়ী ‘সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ছিল দ্বাদশ স্থানে। ২০১৮ ও ২০১৯ সালেও একই স্কোর ছিল।
১০০ ভিত্তির এ সূচকে শূন্য স্কোরকে দুর্নীতির ব্যাপকতার ধারণায় সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ১০০ স্কোরকে সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত বা সর্বোচ্চ সুশাসনের দেশ হিসেবে বিবেচনা করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল।
আগে দশভিত্তিক সূচকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরা হলেও ২০১২ সাল থেকে ১০০ ভিত্তির এ সূচক প্রকাশ করা হচ্ছে। পুরোনো প্রতিবেদনগুলো থেকে দেখা যায়, ২০১৩ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২৭, তার আগের বছর ছিল ২৬। ২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত সর্বনিম্ন অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ।
২০২০ সালের সূচকে গড় স্কোর হল ৪৩। ৫৩টি দেশ ৪৩ স্কোর বা তার বেশি পেয়েছে। সবচেয়ে বেশি স্কোর করে ডেনমার্ক ও নিউজিল্যান্ড। দেশ দুটি ১০০ মধ্যে ৮৮ স্কোর পেয়েছে। সবচেয়ে নিম্ন স্কোর ১২ পায় দক্ষিণ সুদান ও সোমালিয়া।
ভালো স্কোর করা ডেনমার্ক ও নিউজিল্যান্ডের পরে রয়েছে ফিনল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, লুক্সেমবার্গ, অস্ট্রিয়া ও কানাডা।
অন্যদিকে সবচেয়ে খারাপ স্কোর করা দক্ষিণ সুদান, সোমালিয়ার পাশাপাশি রয়েছে সিরিয়া, ইয়েমেন, ভেনেজুয়েলা, সুদান, লিবিয়া, উত্তর কোরিয়া, হাইতি ও কঙ্গো।