রাজধানীর বনানী থেকে বিমানবন্দর এলাকা পর্যন্ত ভয়াবহ যানজটে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে মানুষ। ভয়াবহ এই যানজট গাজীপুর পর্যন্ত রয়েছে।
রোববার ভোরের বৃষ্টিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বাসস্ট্যান্ডের গোলচত্বর এলাকায় প্রায় হাঁটুপানি জমে যায়। এরপর সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বনানী থেকে বিমানবন্দর এলাকায় কেউ তিন-চার ঘণ্টা যানজটে আটকা পড়েন।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের বোর্ডবাজার থেকে বিমানবন্দর এবং রাজধানীর বনানী থেকে টঙ্গীর চেরাগ আলী পর্যন্ত তীব্র যানজট রয়েছে। ঢাকায় ঢোকার মুখে আবদুল্লাহপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত যানজট আছে।
বেলা পৌনে ১টার দিকে ঢাকা মহানগর উত্তরা ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিমানবন্দর এলাকায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কারণে এমনিতেই মহাসড়ক এখন অনেক সরু। এর মধ্যে বৃষ্টির পানি রাস্তায় জমে যায়। পানি জমে থাকায় চালকেরা খানাখন্দ ও গর্ত বুঝতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে ঢাকায় প্রবেশ ও ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার পথে দুপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
ট্রাফিক উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার নাবিদ কামাল বেলা পৌনে একটার দিকে গণমাধ্যমকে বলেন, সেচযন্ত্র দিয়ে পানি সেচে অপসারণ করা হয়েছে। এখন যানবাহন চলতে পারছে। যানজটের সারি বিমানবন্দর থেকে নিকুঞ্জ এলাকা পর্যন্ত রয়েছে বলেন তিনি।
আবদুল্লাহপুর ট্রাফিক পুলিশ বক্সের পরিদর্শক মো.সাজ্জাত হোসেন বলেন, টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় বিআরটি প্রকল্পের গর্ত-খানাখন্দে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় কোনো গাড়ির স্বাভাবিক গতিতে গাজীপুর অংশে ঢুকতে পারছে না। আবার বিমানবন্দর এলাকায় সড়কে বৃষ্টির পানি জমেছে। এ কারণে গাজীপুর থেকেও কোনো গাড়ি ঠিকমতো ঢাকায় ঢুকতে পারছে না। তাই সকাল থেকেই মানুষ খুব কষ্ট করছে। আমরাও চেষ্টা করছি যান চলাচল স্বাভাবিক করতে।