× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ব্যবসায়ী আনিসের আত্মহত্যা, রিমান্ডে হেনোলাক্স আমিন ও তার স্ত্রী

০৬ জুলাই ২০২২, ১০:২৪ এএম

কুষ্টিয়ার ব্যবসায়ী আনিসুর রহমানকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলায় গ্রেপ্তার হেনোলাক্স কোম্পানির (আমিন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আমিন ও তাঁর স্ত্রী কোম্পানির পরিচালক ফাতেমা আমিনকে দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ বুধবার এই আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) নিজাম উদ্দিন ফকির।

আনিসুর রহমান গত সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে নিজের গায়ে আগুন দেন। গতকাল মঙ্গলবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় গতকাল তাঁর ভাই নজরুল ইসলাম হেনোলাক্স কোম্পানির এমডি নুরুল আমিন ও তাঁর স্ত্রী ফাতেমা আমিনকে আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এই মামলায় আসামি নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী ফাতেমাকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে শাহবাগ থানা-পুলিশ। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত প্রত্যেক আসামির দুই দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।

এদিকে এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আনিস সাহিত্যচর্চা করতেন। সাহিত্যচর্চার মাধ্যমেই ২০১৬ সালে আসামিদের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। ২০১৮ সালে নুরুল আমিন ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দেশের বাইরে যান আনিস। ওই সময় আসামিরা তাঁকে হেনোলাক্স কোম্পানিতে বিনিয়োগের প্রস্তাব দেন। প্রাথমিকভাবে আনিস রাজি না হলেও বেশি মুনাফা, ব্যবসায়িক অংশীদার বানানোসহ নানা প্রলোভন দেখালে তিনি রাজি হন।

খন্দকার আল মঈন বলেন, প্রথমে এক কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন আনিস। পরে আরও বেশি লভ্যাংশের আশায় ২৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। নুরুল আমিন ও ফাতেমা আমিনের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় কোনো লিখিত চুক্তি করেননি তিনি। কয়েক মাস লভ্যাংশও দেওয়া হয় তাঁকে। একপর্যায়ে লভ্যাংশ দেওয়া হয়ে গেলে তিনি লিখিত চুক্তির চাপ দেন। কিন্তু এই দম্পতি চুক্তি করছিলেন না, টাকাও দিচ্ছিলেন না। টাকা ফেরত না পেয়ে তিনি চাপে পড়ে যান। পরে তিনি চেক জালিয়াতিসহ কুষ্টিয়ার আদালতে দুটি মামলা করেন। সেই দুই মামলা এখনো চলছে।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.