পাকিস্তানে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে ৪ হাজার ৮৬৬ কোটি ডলার হয়েছে, যা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ।
সদ্যবিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশটির বাণিজ্যে এ ঘাটতি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরে ছিল তিন হাজার ৯৬ কোটি ডলার।
কোনো দেশের রপ্তানির তুলনায় আমদানি বেশি হলে বাণিজ্য ঘাটতি হয়।
ডনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত অর্থবছরে আমদানি প্রত্যাশিত মাত্রার চেয়ে ৫৭ শতাংশ বেশি হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চলতি বছরের মে মাসে ৮ শতাধিক পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় পাকিস্তান। এরপরও দেশটিতে বাণিজ্য ঘাটতি আশঙ্কাজনক অবস্থায় পৌঁছায়।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার প্রচেষ্টা চালিয়ে এলেও প্রত্যাশিত ফল পেতে ব্যর্থ হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে এক বছর আগের একই সময়ের তুলনায় বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ৩২.৩ শতাংশ, অর্থের হিসাবে যা ৪৮৪ কোটি ডলার। এক বছর আগে একই মাসে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৩৬৬ কোটি ডলার।
রপ্তানির তুলনায় আমদানি প্রায় দ্বিগুণ হওয়ায় বাণিজ্যে এ ঘাটতি দেখা গেছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে কৌশলগত পণ্য তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম সর্বকালের শীর্ষে থাকার মধ্যে বাণিজ্যে এ ঘাটতি দেখল দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি।