× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

যশোরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই নেই মাস্কের বালাই

যশোর প্রতিনিধি

১৭ জানুয়ারি ২০২২, ০৬:০৩ এএম

যশোরে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল করোনা সংক্রমণের তীব্র ঝুঁকিতে রয়েছে। প্রতিদিন এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা নানা রকম রোগে আক্রান্ত রোগীদের সমাগম ঘটছে। এ সকল রোগীদের মধ্যে মাস্ক পরার প্রবনতা নেই বললেই চলে। রোগীর সাথে থাকা রোগীর স্বজনদেরও মাক্স পরিধানে অনীহা দেখা গিয়েছে।

সরজমিনে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায় হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও রোগীর স্বজনদের মধ্যে অনেকেরই মুখে মাস্ক নেই। প্রতিদিন প্রায় দুই থেকে তিন হাজার মানুষের যাতায়াত এই হাসপাতালে। হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা সেবক-সেবিকাদেরই শুধু মুখে মাক্স দেখা যায়। এদিকে রোগীকে দেখতে আসা স্বজনরা এসে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভিড়ের সৃষ্টি করছে। ফলে স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা রোগীরা করোনায় সংক্রমণের ঝুকিতে রয়েছে। প্রতিনিয়ত যশোর জেলার উপজেলাগুলো বাদেও বাহিরের জেলা থেকেও এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে হাজার হাজার রোগী।

হাসপাতালের বহিঃবিভাগে প্রতিনিয়ত শিশু থেকে শুরু করে বয়স্করাও ঠান্ডা, কাশি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসছে। এমনকি রোগীরাও বিভিন্ন রোগবালাইয়ে আক্রান্ত হয়ে পাদচারণ করছে এই হাসপাতালে। যেখানে শুধু মাত্র করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রেগীরা নয় সকল রোগের রোগীদের আনাগোনা সেখানে মাস্ক পরিধান বা স্বাস্থ্যবিধী অবহেলা করায় সংক্রমন নিয়ে ভাবিয়ে তুলছে সচেতন মহলকে।

হাসপাতালের সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিতে আসা, মোসলেম হোসেনের(৫১) মুখে মাস্ক নেই দেখে জিগ্যাসা করলে তিনি বলেন, হাসপাতালে কারোর মুখেই তো মাস্ক দেখছি না। করোনা আগের মতো আছে নাকি? মানুষ এখন আর ভয় পায় না। মোসলেম হোসেনের মতো একাধিক মাস্কবিহীন ব্যক্তিকে প্রশ্নের সম্মুখীন করলে তাদেরও উত্তর একইরকম।

হাসপাতালে বহিঃবিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা একজন শিক্ষক মশিয়ার শেখ বলেন, যারা সচেতন তারা মাস্ক পরে হাসপাতালে আসছে। কারন এখানে মানা রোগী এবং রোগের সমাগম। যারা সচেতন না তারাই কেবল মাস্ক পরিধান না করে হাসপাতালে ঢুকছে। এ ভাবে চলতে থাকলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আাসা রোগীরাই করোনা আক্রান্ত হয়ে বাসায় ফিরবে। সরকারের শুধু বিধিনিষেধ দিয়ে রাখলেই চলবে না। তা কার্যকর করতে মাঠ পর্যায়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।

হাসপাতালের ওয়ার্ডে দায়িত্বরত সেবিকারা জানায়,  বাইরে থেকে প্রতিদিন হাসপাতালে রোগীদের দেখতে স্বজনরা ভিড় করে। তাদেরকে বলে বলেও মাস্ক পরানো যায় না। মাস্ক নিশ্চিত করতে হলে হাসপাতালে মধ্যে স্বাস্থ্যবিধীর ক্ষেত্রে কড়া নজরদারি সৃষ্টি করতে হবে।

যশোরের সিভিল সার্জন ডা: বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, স্বাস্থ্যবিধী নিশ্চিত করতে আমাদের প্রচার প্রচারনা অব্যাহত আছে।

এ ব্যাপারে যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ আখতারুজ্জামান বলেন, আমরা স্বাস্থ্যবিধী নিশ্চিত করতে এবং মাস্ক পরিধানে উদ্বুদ্ধ করনের জন্য হাসপাতালে দায়িত্বরত সেবিকা ও ইন্টার্ন চিকিৎসক সহ সকল কর্মচারীদের নির্দেশ দিয়ে রেখেছি। তারা এগুলো ওয়ার্ডে খেয়াল করবে এবং মাস্ক নিশ্চিত করবে। রোগী বা স্বজনরা যদি মাক্স না পরে তাহলে রোগীরাও এফেক্টেড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং সেবিকা চিকিৎসকরাও ঝুকিতে থাকে।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.