× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

রাজশাহীতে বাড়ছে সংক্রমণ, এখনও চালু হয়নি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল

রাজশাহী প্রতিনিধি

১৭ জানুয়ারি ২০২২, ০২:০১ এএম

করোনাকালের শুরুতে গতবছরের জুনে করোনার ডেলটা ধরনের সংক্রমণ দেখা দিলে রামেক হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়ে যায়। একটির পর একটি সাধারণ ওয়ার্ড ছেড়ে দেওয়ার পরও রোগী রাখার জায়গা হচ্ছিল না। ওদিকে বিঘ্নিত হচ্ছিল অন্য রোগীদের চিকিৎসার। তখন এ সদর হাসপাতাল আবার চালুর বিষয়টি আলোচনায় আসে। তাই সদর হাসপাতালটিই চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রয়োজনীয় অর্থও বরাদ্দ দেয় মন্ত্রণালয়।

তারপর হোস্টেলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিয়ে সংষ্কার কাজ শুরু করে রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ-২। ইতোমধ্যে কাজও প্রায় শেষ হয়েছে। কিন্তু এখনও হাসপাতালটি চালু হয়নি। অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে রাজশাহীতে করোনার সংক্রমণ কমে এলেও এখন আবার বাড়ছে। রোগীও বাড়ছে রামেক হাসপাতালে। রোগী যখন কমেছিল, তখন এ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডগুলোকেও আবার সাধারণ ওয়ার্ড করা হয়। ফলে এখন আবার রোগী নিয়ে সমস্যায় পড়ছে হাসপাতালটি।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী বলেন, ‘করোনা হাসপাতাল করার জন্য আমরা দোতলা থেকে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সরিয়ে নিয়েছি। হাসপাতাল চালুর জন্য কাজও মোটামুটি শেষ। তবে এখনও চালু হয়নি। দোতলায় করোনা ইউনিট হলেও নিচতলায় ডেন্টাল ইউনিটের বহির্বিভাগ থাকবে।’ সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, দোতলার সিঁড়ির বাঁ পাশে থাকা ওয়াশরুমটিতে এসি লাগানো। আরও কয়েকটি বড় বড় কক্ষে এসি লাগানো আছে আগে থেকেই। ঘরে ঘরে নতুন করে বসানো হয়েছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ লাইনের পাইপ। নিচতলায় ডেন্টাল ইউনিটের বহির্বিভাগের চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে। দোতলাটি সুনশান নীরব। ১৮-২০টি বড় বড় ঘরের সবগুলোরই দরজা খোলা। ভেতরে ঢুকে দেখা যায়, অক্সিজেন লাইনের জন্য পাইপও বসানো হয়েছে। ভবন পুরনো হলেও দোতলার সবখানেই লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। করোনা রোগী রাখার জন্য মোটামুটি প্রস্তুত রাজশাহী সদর হাসপাতাল। তাও হাসপাতালটি চালুতে বিলম্ব হচ্ছে।

রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শুধু সংষ্কার কাজের জন্য প্রায় আড়াই কোটি টাকার কাজ করা হয়েছে। আর অক্সিজেন সরবরাহ লাইন করতে খরচ হয়েছে আরও প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। তিনি বলেন, ‘কাজ মোটামুটি শেষ। আগামী মাসে আমরা এটা বুঝিয়ে দিতে পারব।’ রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, সদর হাসপাতালের দোতলায় অন্তত ২৫০টি শয্যা রাখা সম্ভব। তবে করোনা রোগীদের শয্যাগুলো একটু দূরত্ব রেখেই বসানো হবে। তাই শয্যা ধরা হচ্ছে ১৫০টি। এরমধ্যে বড় একটি হলরুমে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) করে ১৫টি শয্যা রাখা হবে। তিনি বলেন, ‘করোনা কিন্তু এখন আবার বাড়ছে। দ্রুত হাসপাতালটি চালু করা দরকার। যত দেরি করব, তত বেশি সমস্যায় পড়তে হবে।’ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়কের দায়িত্ব থাকা রাজশাহীর সিভিল ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘একটা হাসপাতাল চালু করতে হলে সেখানকার জনবল, শয্যা, মেডিকেল সামগ্রীসহ নানা বিষয় সংস্থানের ব্যাপার থাকে। যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালটি চালুর প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেব।’

উল্লেখ্য, এ সদর হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠিত ১৯০২ সালে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর এটির গুরুত্ব কমে যায়। তখন এখানে স্থানান্তর করা হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিট। ২০০৪ সালে সদর হাসপাতালে ডেন্টাল ছাড়া অন্য সব চিকিৎসা বন্ধ হয়ে পড়ে। তারপর থেকে নিচতলায় ডেন্টাল ইউনিটের বহির্বিভাগ। আর দোতলাটি ব্যবহার হয়ে আসছিল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হোস্টেল হিসেবে।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.