× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ভোজ্য তেলের দাম কমাতে পদক্ষেপ নিন

২৬ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:১১ এএম

ভোগ্যপণ্যের বাজারে অস্থিতিশীলতা এখনো কাটেনি। শীতের ভরা মৌসুমেও সবজির দাম চড়া। তবে ক্রেতাদের সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে ভোজ্য তেল। কোনো কারণ ছাড়াই দেশের খোলাবাজারে ভোজ্য তেলের দাম বাড়তে শুরু করেছে। গত ২ জানুয়ারি ভোজ্য তেল পরিশোধন কারখানাগুলোর সমিতির পক্ষ থেকে সয়াবিনের দাম লিটারে অন্তত আট টাকা এবং পাম তেল লিটারে ১১ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্মতি না দিলেও বাজারে ভোজ্য তেলের দাম ঠিকই বেড়ে গেছে। কম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে বাড়তি দাম রাখছেন।

জানা যায়, বাজারে সব ধরনের ভোজ্য তেল নির্ধারিত দামের চেয়ে ৫ থেকে ১৪ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এর আগে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের পর বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘দাম বাড়ার হলে বাড়বে, কমার হলে কমবে। তবে বিচার-বিশ্লেষণ ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বর্তমান দামই থাকবে। সব কিছু বিবেচনা করে এরপর যেটা সুবিধাজনক হয়, সেটাই করা হবে। ’

বাণিজ্যমন্ত্রীর কথার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না ভোগ্যপণ্যের বাজারে। বাজারে ভোক্তাকে বাড়তি দামেই তেল কিনতে হচ্ছে। তেলের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা মন্ত্রণালয়কে জানানোর প্রয়োজনই বোধ করেননি। গত ১৭ অক্টোবর ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানো হয় লিটারপ্রতি সাত টাকা পর্যন্ত। সর্বশেষ নির্ধারিত দাম অনুসারে খোলা সয়াবিন খুচরায় প্রতি লিটার সর্বোচ্চ ১৩৬ টাকা, এক লিটার বোতলজাত সর্বোচ্চ ১৬০ টাকা, পাঁচ লিটার ৭৬০ টাকা, খোলা পাম ১১৮ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। এখন খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৫৮ টাকা কেজি। সে হিসাবে প্রতি লিটারের দাম হয় ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। এক লিটার বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়। আমদানি ও সরবরাহ পরিস্থিতি ভালো থাকার পরও ভোজ্য তেলের বাজারে এই অস্থিরতা।

এটা ঠিক যে, দেশের ভোজ্য তেলের বাজার সম্পূর্ণ আমদানিনির্ভর। চলতি মাসের শুরুতে তেলের দাম বাড়ানোর যে প্রস্তাব দেওয়া হয়, তার কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে গেলে তার প্রভাব দেশের বাজারে পড়বে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলে দেশের বাজারেও দাম কমে এমন কোনো উদাহরণ বোধ হয় খুঁজে পাওয়া যাবে না।

সামনে রোজা আসছে। রোজার সময় ভোজ্য তেলের চাহিদা বাড়ে। তখন তেলের দাম কোথায় যাবে সেটাও এখন থেকে ভাবতে হবে। সরকার ভোজ্য তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে এটাই প্রত্যাশা।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.