× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

নারায়ণগঞ্জের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির উত্তম চর্চা ছড়িয়ে পড়ুক জাতীয় পর্যায়েও

১৯ জানুয়ারি ২০২২, ০৪:৫০ এএম । আপডেটঃ ২৯ জানুয়ারি ২০২২, ০৫:৫২ এএম

দেশে কয়েক ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব নির্বাচনে সংঘাত-সংঘর্ষ ও খুনখারাবির বহু ঘটনা ঘটেছে। স্বাভাবিকভাবেই একটা শঙ্কা তৈরি হয়েছিল যে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনেও ব্যাপক সহিংস ঘটনা ঘটতে পারে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পক্ষ থেকেও কিছু আশঙ্কার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সব আশঙ্কা মিথ্যা প্রমাণ করে সেখানে অত্যন্ত সুন্দর, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনার মধ্যেও ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল।

কোথাও উল্লেখ করার মতো কোনো গোলযোগ দেখা যায়নি। অনেক নির্বাচন বিশ্লেষকের মতে, কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন ছিল এটি। নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াত আইভী টানা তৃতীয়বারের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৫৯ হাজার ৯৭ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। তিনি ভোট পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৬৬ ভোট। এদিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজিত মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারের বাসায় মিষ্টি নিয়ে গেছেন বিজয়ী প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে তৈমূরের বাসভবনে যান তিনি।

সেখানে দুজনই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় আইভী তৈমূরের কাছে দোয়া চান। তৈমূর আইভীর মাথায় হাত বুলিয়ে দেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ শেষে আইভী তৈমূরকে মিষ্টি খাইয়ে দেন। তৈমূরও আইভীর মুখে মিষ্টি তুলে দেন। এটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইতিবাচকতার লক্ষণ। আমরা চাই রাজনৈতিক এই সৌহার্দ্য অন্যান্য ক্ষেত্রেও অটুট থাকুক। আমরা জানি, জাতীয় নির্বাচন কাছাকাছি চলে এসেছে। এ সময়ে ঢাকার নিকটবর্তী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের এই নির্বাচনটি নানা দিক থেকেই ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের জনপ্রিয়তা বিবেচনার একটি মাপকাঠিও হতে পারে এই নির্বাচন। ক্ষমতাসীন দল ভালোভাবেই সেই পরীক্ষায় উতরে যেতে পেরেছে। আইভীর ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তাও এ ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে।

বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকারকে এবার দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তিনি দলের অমতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন। দল তাঁর বিরুদ্ধে কিছু ব্যবস্থাও নিয়েছে। তাই দলের অনেক নেতাকর্মী তাঁর পক্ষে কাজ করলেও এটি বিএনপির দলগত নির্বাচন ছিল না। অ্যাডভোকেট তৈমূর অভিযোগ করেছেন, প্রশাসনিক চাপ ও ইভিএমে কারচুপির কারণেই তাঁর পরাজয় হয়েছে। কি জাতীয়, কি স্থানীয় প্রায় সব নির্বাচনেই বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ থাকে। প্রশাসনের বিরুদ্ধে যেমন পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ থাকে, তেমনি অভিযোগ থাকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর বিরুদ্ধেও। অভিযোগ থাকে নির্বাচন কমিশনের দক্ষতা নিয়েও। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে এমন অভিযোগ নেই বললেই চলে।

এতে প্রমাণিত হয়, আমাদের নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন আন্তরিক হলে অনেক ভালো নির্বাচন উপহার দেওয়া সম্ভব। অবশ্য এ ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষগুলোর সদি”ছা এবং গণতান্ত্রিক আচরণও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যার ঘাটতি অনেক ক্ষেত্রেই দুঃখজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। নারায়ণগঞ্জে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকদের কাছ থেকে আমরা প্রত্যাশিত আচরণই পেয়েছি। তার ওপর পরাজিত প্রার্থীর বাসায় বিজয়ী প্রার্থীর মিষ্টি নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটিও আমাদের আশাবাদী করে।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.