× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

মিঠামইনে সূর্যমুখীর বাম্পার ফলন

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

২৩ জানুয়ারি ২০২২, ০৪:৫২ এএম

কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলাধীন মিঠামইন উপজেলায় সূর্যমুখী ফুলের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ ফুল আবাদে আগ্রহ বাড়ছে চাষীদের। ফলে চাষের পরিধি বাড়ছে অনেক। উৎপাদন খরচও কম, আর বীজ বাজারজাত করণের চাহিদা অনেক বেশি থাকায় এখন সূর্যমুখী ফুল চাষে আগ্রহী এখানকার কৃষকরা। চলতি বছর ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝিলিক।

একবার বাগানে না গেলে বোঝা যাবে না কী অপূর্ব দৃশ্য। দূর থেকে দেখলে মনে হয় হলুদ গালিচা পেতে রেখেছে কেউ। সূর্যমুখী ফুলের এমন মনোমুগ্ধকর রূপের দেখা মিলবে কিশোরগঞ্জের শতভাগ হাওর অধ্যুষিত মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে। সূর্যমূখী হলুদ রূপ আর মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য দেখতে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেকেই ছুটে আসছে এ হাওরের মাঝে। শুধু তাই নয়, দেশের ভোজ্য তেলের চাহিদা মেটাতে সরকারের কৃষি বিভাগের প্রণোদনায় চাষ করা হয়েছে সূর্যমুখী ফুল।

সূর্যমুখী ফুল আবাদে মিঠামইন উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের কৃষক আলাল উদ্দিন বলেন, ‘হাওরে ছয় মাস পানি থাকে। আর বছরের বাকি ছয় মাস বোরো ধান আবাদ করি আমরা। গত বছর থেকে কৃষি অফিস সূর্যমুখী ফুল চাষের পরামর্শ দিচ্ছে। কৃষি অফিসের পরামর্শে চলতি বছর এই ফুলের চাষ করেছি। বোরো ধান আবাদের চেয়ে সূর্যমুখী ফুল চাষে খরচ কম, লাভ বেশি আর ফলনও ভালো।’

এ বিষয়ে মিঠামইনের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. আনিছুর রহমান জানান, চলতি বছর মিঠামইন উপজেলায় ১০০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে। এর বীজ থেকে ভোজ্য তেল ও গাছ থেকে জ্বালানির চাহিদা মিটবে। আমরা সরেজমিনে কৃষকদের পাশে থেকে এই ফুল চাষের আবাদে উৎসাহ ও পরামর্শ দিচ্ছি।

এ বিষয়ে এলাকার কয়েকজন কৃষক বলেন, হাওরে সূর্যমুখীর এতো ভাল ফলন হবে, আমরা ভাবতেও পারিনি। ফলন দেখে খুব ভালো লাগছে। ভবিষ্যতে আমরা সূর্যমুখী ফুলের চাষ করব।

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাওরে ঘুরতে আসা পর্যটকরা বলেন, বর্ষা ঋতুতে শুধু হাওরে নৌকায় চড়ে পানির সৌন্দর্য দেখতে আসতাম। এখন চোখ জুড়ানো পাকা সড়ক নির্মাণ আর এখন শীত মৌসুমে সবুজের মাঝে হলুদের সমারোহ দেখতে আসি।
মিঠামইন উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রাফিউল ইসলাম জানান, জমির নিবিড়তা বৃদ্ধির জন্য ভিন্ন ভিন্ন ফসল আবাদে হাওরের কৃষকদের অভ্যস্ত করা হচ্ছে।

অন্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী ফুল চাষে খরচ কম। এতে সার ও ওষুধ কম লাগে। খুব বেশি পরিচর্যাও করতে হয় না। তা ছাড়া অন্যান্য তেলবীজের তুলনায় সূর্যমুখী ফুলে বেশি তেল পাওয়া যায়। প্রতি তিনবিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুল চাষে খরচ হয় প্রায় ১২ হাজার টাকা। সূর্যমুখী ফুলের বীজ থেকে তৈরি তেল বাজারের অন্যান্য তেলের চেয়ে উন্নতমানের। পুষ্টিগুণও বেশি। এ ফুল থেকে উৎপাদিত তেলের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকেরা লাভের মুখ দেখছেন। তাই এই সুর্যমূখী ফুল আবাদে জেলার কৃষকদের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.