রাজশাহীর তানোরের চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) কম্পিউটার অপারেটর আলো বেগমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর পক্ষে জুড়ানপুর গ্রামের দারেজ আলীর পুত্র বিএম আহম্মেদ বাদি হয়ে আলো বেগমের বিরুদ্ধে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও ইউপি প্রশাসক মোহাম্মদ হোসেন খাঁনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে,উপজেলার চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়নে (ইউপি) চলতি বছরের দুঃস্থ মাতা কার্ডের আবেদন করতে এলাকায় মাইকিং করা হয়।এদিকে মাইকিং করার পর এলাকার অসহায় দরিদ্র নারীরা ইউপি প্রশাসক বরাবর আবেদন করেত ইউপি কার্যালয়ে আসেন।এসময় কম্পিউটার অপারেটর আলো বেগম আবেদনকারীদের কাছে থেকে মাথা পিছু দুশ’ টাকা করে হাতিয়ে নেয়।
ইউপিতে নতুন প্রায় সাড় তিনশ’ নারী দুঃস্থ মাতা ভাতার আবেদন করেছেন। এসব দুঃস্থ নারীদের কাছে থেকে আলো বেগম প্রায় ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। কিন্ত্ত সাড়ে তিনশ’ আবেদনকারীর কারোই দুঃস্থ মাতার কার্ড হয়নি। তবে কার্ড না হলেও তারা কোনো টাকা ফেরত পাইনি পুরো টাকা আলো বেগম আত্মসাৎ করেছেন।
এদিকে, লিখিত অভিযোগে আরো বলা হয়েছে,শুধু দুঃস্থ মাতা নয় মাতৃকালীন ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, পঁঙ্গু ভাতা, বিধবা ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতার কার্ডের জন্য আবেদন করতে গেলে এসব অসহায় গরীব মানুষের কাছ থেকে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করেন আলো বেগম। কেউ টাকা না দিলে তাকে কার্ড দেওয়া যাবে না বলে তাড়িয়ে দেয়া হয়।
ভুক্তভোগীরা এবিষয়ে সরেজমিন তদন্ত পুর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও ইউপি প্রশাসক মোহাম্মদ হোসেন খাঁন বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
কম্পিউটার অপারেটর আলো বেগম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দুঃস্থ মাতার আবেদন করতে মাথা পিছু ৫০ টাকা করে নেয়া হয়েছে,এবং এই টাকা তারা স্বেচ্ছায় দিয়েছেন।এবিষয়ে ইউপি বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন,অনেকে তাদের কাছে অভিযোগ করেছেন।তারা আলো বেগমকে অপসারন করে নতুন অপারেটর নিয়োগের দাবি করেছেন।