মৌলভীবাজারের রাজনগর সরকারি কলেজে ‘জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার আলোকে ১৫ দফা প্রস্তাবনা’সহ বাস্তবায়নে স্মারকলিপি দিয়েছে ছাত্রশিবির। আজ (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তামান্না বেগমের কাছে এই স্মারকলিপি প্রদান করেন ছাত্রশিবিরের রাজনগর সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি আব্দুল্লাহ আল আপন ও সেক্রেটারি জিবান আহমদ।
জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ, আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারী ছাত্র জনতাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, অজস্র ছাত্র-জনতার ত্যাগ-কুরবানি ও শাহাদাতের বিনিময়ে যে সুযোগ পাওয়া গেছে সেই সুযোগ কে শহিদদের প্রত্যাশা ও জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিটের আলোকে কাজে লাগানো প্রয়োজন। ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশে একটি বৈষম্যহীন ও সুস্থ্য ক্যাম্পাস বিনির্মাণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী।
এতে ফ্যাসিবাদবিরোধী নতুন ক্যাম্পাস বিনির্মাণে রাজনগর সরকারি কলেজ ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে ১৫টি প্রস্তবনা তুলে ধরা হয়।
তাদের প্রস্তবনাগুলো হলো-
১. ক্যাম্পাসে একটি জুলাই স্মৃতি কর্ণার স্থাপন করা।
২. দ্রুত সময়ের মধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়া।
৩. কলেজে B.N.C.C সচল করা।
৪. কলেজের একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে এবং ফলাফল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা।
৫. কলেজের সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম (বিভিন্ন ধরনের আবেদন, টাকা দেওয়া, সার্টিফিকেট, মার্কশিটসহ প্রয়োজন ডকুমেন্ট উত্তোলন) আধুনিকায়ন করে অনলাইনে নিয়ে এসে প্রশাসনিক জটিলতা, শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কমিয়ে আনা।
৬. সম্পূর্ণ ক্যাম্পাস সিসিটিভির আওতায় আনা।
৭. ক্যাম্পাস অভ্যন্তরে আইন করে ধূমপান নিষিদ্ধ করা।
৮. প্রতিটি সাবজেক্টে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া।
৯. ক্যাম্পাসে মেয়েদের জন্য আলাদা নামাজ এবং ওযুর ব্যবস্থা করা।
১০. কলেজ মসজিদ প্রয়োজনীয় সংস্কার করা।
১১. পুরাতন ভবনের ওয়াশরুম সংস্কার করা।
১২. প্রতি বছরের কমপক্ষে দুইটি করে শিক্ষা সেমিনার আয়োজন করতে হবে। এতে দেশের বিভিন্ন গণ্য-মান্য শিক্ষাবিদদের আমন্ত্রণ জানিয়ে বিভিন্ন সেশনের আয়োজন করা।
১৩. কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বাৎসরিক শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা।
১৪. শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতার বিকাশে কলেজে একটি ডিবেট ক্লাব গঠন করা।
১৫. কলেজ লাইব্রেরীকে আধুনিকায়ন করে বইয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি করা ও বাহির থেকে বই নিয়ে পড়ার জন্য মানসম্মত রিডিং রুমের ব্যাবস্থা করা।
স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়, এসব প্রস্তাবনার আলোকে ক্যাম্পাসকে ঢেলে সাজিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ-গাজীদের আকাঙ্ক্ষার বাস্তব প্রতিফলন করা হবে বলেই বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির বিশ্বাস করে। দ্রুততম সময়ের মাঝে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা বিবেচনা করে উল্লেখিত প্রস্তাবনার আলোকে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে অধ্যক্ষের অনুরোধ জানান তারা।