লালমনিরহাটে জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল ও তার সহযোগী কামরুলকে রাজধানী ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। আজ (২৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট পুলিশ সুপার মোঃ তরিকুল ইসলাম।
এর আগে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকার খিলক্ষেত থানাধীন নিকুঞ্জ ০২ এবং ধানমন্ডি থানাধীন সোবাহানবাগ এলাকা হতে অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্র জানা গেছে, রংপুরে হত্যার চেষ্টার মামলা ও একাধিক ওয়ারেন ভুক্ত আসামী আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল।
গত ০৫ আগস্ট ২০২৪ এর পর থেকে আবু বকর সিদ্দিক শ্যামল ও তার অন্যতম সহযোগী কামরুল বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থেকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দ্বারা জনমত গড়ে তোলাসহ দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা করছিলেন। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন-ফেসবুক গ্রুপ, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, টেলিগ্রাম গ্রুপ, ইউটিউব চ্যানেল এবং জুম প্লাটফর্মে পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে বর্তমান বৈধ সরকারকে উৎখাত করে পলাতক প্রধানমন্ত্রীকে দেশে এনে পুনরায় ক্ষমতায় বসানোর পরিকল্পনা করছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সারাদেশের আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সমর্থকদের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপের সাথে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, জননিরাপত্তা তথা জনশৃঙ্খলার ক্ষতিকর কার্য এবং বর্তমান বৈধ সরকারের বিরুদ্ধে ঘৃণাবোধ সৃষ্টি এমনকি জনসাধারণের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টির অভিপ্রায়ে ধ্বংসাত্মক কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় তাদের কর্মী বাহিনীকে সংগঠিত করছে যা ক্ষতিকর কার্যের শামিল।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, শ্যামল ও তার সহোযোগিতা জয় বাংলা ব্রিগেডের এর সদস্য, শ্যামলের তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারকে পূর্ণবাসন নিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট করে। ডিবি পুলিশের মাধ্যমে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে লালমনিহাটে নিয়ে আসা হয়েছে। আজ বিকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানোর কথা রয়েছে।