বান্দরবানে রুমা উপজেলার দুর্গমাঞ্চলে পাহাড়ের অস্ত্রধারী সশস্ত্র বিছিন্নবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)-এর সাথে সেনাবাহিনী বন্দুকযুদ্ধে ১ কেএনএফ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। তবে সন্ত্রাসীর নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) সকালে রুমা পাইন্দু ইউনিয়ন দুর্গম এলাকার আরথা পাড়া থেকে মরদেহ তার উদ্ধার করা হয়।
রুমা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্রে জানা যায়, রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের দুর্গমাঞ্চলে পাহাড়ের অস্ত্রধারী সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ অবস্থান নিয়েছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে সেনাবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। শনিবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েক দফায় থেমে থেমে দুই পক্ষের ব্যাপক গোলাগুলির বিনিময় হয়। এতে নিরাপত্তা বাহিনী এবং কেএনএফ-এর মধ্যে গোলাগুলিতে একজন কেএনএফ দলের সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। পরে সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা লাশটি উদ্ধার করে। এসময় থেকে ৭০ রাউন্ড কার্টুজ গুলি, দুই নলা ১টি বন্দুক পাওয়া উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ওসি আলমগীর হোসেন জানান, দুই পক্ষে বন্দুকযুদ্ধে কেএনএফ-এর এক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকেই লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পরিচয় সনাক্ত করা যায়নি।
এদিকে ২৮ জানুয়ারি রুমার মুয়ালপি পাড়া এলাকায় অবস্থান নেয় কেএনএফ সদস্যেরা। এসময় পাড়ায় অবস্থানরত ৫২ পাড়াবাসীকে পাড়া ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দ্দেশ ও বিভিন্ন হুমকি দেয় কেএনএফ সদস্যরা। এতে ভয়ে পাড়া ছেড়ে ৪০ পারিবার আশ্রয় নেয় রুমা সদরে মারমা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ভবনে।
উল্লেখ্য, নতুন জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়ার সদস্যরা রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি উপজেলার দুর্গম এলাকায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) গোপন আস্থানাতে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নেওয়ার সংবাদ ভিক্তিতে ৯ অক্টোবর হতে ওই সব এলাকায় জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। ২০ অক্টোবর ওই সব এলাকা থেকে ৭ জন জঙ্গি ও ৩ জন কেএনএফ সদস্য এবং ১১ জানুয়ারি আরো ৫ জন জঙ্গি সদস্যকে আটক করা হয়।