বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ গত শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে নকল স্বর্ণমুর্তি প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজন মহিলা রয়েছে। অল্প দামে স্বর্ণের মূর্তি বিক্রির লোভ দেখিয়ে সাধারণ জনগণকে দীর্ঘদিন যাবৎ তারা ঠকিয়ে আসছিল। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার খোলাস গ্রামের ওমর আলীর ছেলে এরশাদ আলী ঢাকা গার্মেন্টস এর ব্যবসা করেন। ব্যবসার সূত্র ধরে তিনি ঢাকায় অবস্থান করেন। নিজ এলাকা উপজেলার জয়পুরপাড়ার সিদ্দিক হোসেনের মেয়ে মোছাঃ ফারজানা (২৪) তার স্ত্রীর বান্ধবী হওয়ায় প্রায়ই তাদের মধ্যে মোবাইলে কথাবার্তা হয়। মোবাইলে কথাবর্তার এক পর্যায়ে ফারজানা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তাকে জানায় তার নিকট একটি স্বর্ণের পুতুল আছে, যা অল্প দামে বিক্রয় করবে। তার প্রতি বিশ্বাস করে এবং সরল বিশ্বাসে গত ৪ জানুয়ারি বুধবার এরশাদ আলী ও তার বন্ধু রুহুল আমিন ঢাকা থেকে দুপচাঁচিয়ায় আসে। উক্ত ফারজানা ও অজ্ঞাতনামা আসামী তাদেরকে সিও অফিস বাসস্ট্যান্ড থেকে জিয়ানগরের গ্রামে মৃত নবাব আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম সরদারের বাড়িতে নিয়ে যায়।
ওই রাত আনুমানিক ১১টায় এরশাদ আলী স্বর্ণের পুতুলের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা বিভিন্ন ধরনের তালবাহানা করতে থাকে। তাদের সরল বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ করে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে এরশাদ আলী ও তার সঙ্গী রুহুল আমিনকে উক্ত শহিদুল ইসলামের বাড়ির একটি কক্ষে আটক করে মারপিট করে এবং গলায় চাকু ধরে হত্যার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তাদেরকে হত্যার হুমকি দিয়ে তাদের কাছে থাকা নগদ ৬ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে তাদেরকে বাড়ির পাশে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে খুন করে লাশ গুম করার হুমকি দেয়। তারা কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে দুপচাঁচিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহণ করে। এ বিষয়ে এরশাদ আলী নিজেই বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা সাত থেকে আট জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলা গ্রহণ করেই ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামি জয়পুরপাড়ার আবুল প্রামানিকের ছেলে সিদ্দিক হোসেন (৪২) ও লক্ষèীমন্ডপ গ্রামের শহিদুল সরদারের স্ত্রী রেবা খাতুনকে (৩৭) গ্রেফতার করেছে। পুলিশ গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে শনিবার বগুড়া কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেছে।