রাজশাহীতে আগামীকাল শনিবার বিভাগীয় গণসমাবেশ করবে বিএনপি। গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে নির্ধারিত সময়ের আগেই বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীদের সমাবেশস্থল রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে ঢুকতে দেয়নি প্রশাসন।
শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত মাঠের মধ্যে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এ পর্যন্ত বিএনপির আটটি সমাবেশ সম্পূর্ণ হলেও কোথায় এ রকম ঘটনা দেখা যায়নি।
এদিকে রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশের জন্য বুধবার (১ ডিসেম্বর) থেকে রাজশাহী নগরের ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।
পরিবহন ধর্মঘট ও নানান ধরনের প্রতিবন্ধকতা এড়াতে নির্ধারিত সময়ের আগেই আসা বিভাগের বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীদের বিশ্রাম ও রাত যাপনের জন্য গত সোমবার থেকে সমাবেশস্থলে সামিয়ানা তৈরির কাজ করলেও মঙ্গলবার পুলিশ তা ভেঙে দিয়েছে।
এরপর সমাবেশস্থলের পাশেই ঈদগাঁ মাঠে বিভিন্ন জেলা থেকে সমাবেশে আগত নেতাকর্মীরা সামিয়ানা টানিয়ে অবস্থান করছেন।
যেসব শর্তে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে তাতে উল্লেখ রয়েছে- মঞ্চ তৈরির সঙ্গে যারা জড়িত (আইডি কার্ডসহ) তারা ব্যতীত অন্য কেউ শনিবার সমাবেশ শুরুর আগে সমাবেশস্থলে প্রবেশ কিংবা অবস্থান করতে পারবে না। সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম ওই দিন দুপুর ২টায় শুরু করে বিকেল ৫টায় শেষ করতে হবে।
এদিকে মাঠের গেটে এবং মাঠের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অবস্থান করছে। তারা মাঠের মধ্যে নেতাকর্মীকে ঢুকতে দিচ্ছে না।
জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈসা বলেন, বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতাকর্মীদের জন্য মাঠে সামিয়ানা তৈরি করা হলেও গত মঙ্গলবার পুলিশ তা ভেঙে দিয়েছে। এরপর থেকে পুলিশ মাঠে কোন নেতাকর্মীদের ঢুকতে দেয়নি। শুধু মঞ্চ তৈরির জন্য কিছু লোক ঢুকতে দিয়েছে। তাই বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা ঈদগাঁ মাঠে অবস্থান করছে।
মাঠে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢুকতে না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, উপরের নির্দেশ রয়েছে এজন্যই সমাবেশস্থলে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। মাঠের মধ্যে যাতে বিশৃঙ্খলা এবং অরাজকতা না ঘটে এ জন্যই মাঠের মধ্যে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।