× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ডিমলায় ডিলারের বিরুদ্ধে সরকারি চাল মজুদের অভিযোগ

ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি

০১ ডিসেম্বর ২০২২, ০৫:৫০ এএম

নীলফামারীর ডিমলায় সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার মেহের আলীর বিরুদ্ধে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে সরকারি চাল অবৈধভাবে মজুদ করার অভিযোগ উঠেছে।

গত সোমবার সকালে এলাকাবাসীর অভিযোগের  ভিত্তিত্বে খাদ্য পরিদর্শক এনামুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় নাউতারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে স্থানীয় ওএমএস ডিলার মেহের আলীর অবৈধভাবে মজুত করা ১১০ বস্তা চাল পাওয়া যায়। চালের পরিমাণ ৩ হাজার ৩০০ কেজি।

এ ঘটনায় বুধবার (৩০ নভেম্বর) দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন।

খাদ্য গুদাম সূত্রে জানা যায়, হতদরিদ্রদের মাঝে সরকারি ন্যায্য মূল্যে চাল বিতরণের লক্ষ্যে চলমান কর্মসূচিতে নাউতারা ইউনিয়নের ডিলার মেহের আলী গত অক্টোবর মাসে উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে ১২ মেট্রিক টন ৪২০ কেজি চাল উত্তোলন করেন। এরমধ্যে সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণ করে অবশিষ্ট ৩ হাজার ৩০০ কেজি চাল উপজেলা কর্তৃক নির্ধারিত স্থান পরিবর্তন করে তিনি নাউতারা বাজারের ইউনিয়ন আওয়ামী কার্যালয়ে তার ব্যক্তিগত গুদামে ১১০ বস্তা চাল মজুদ করেন। এ বিষয়ে লিখিত কোন আবেদন না করেই নিজের ইচ্ছেমত অন্য স্থানে চাল মজুদ করেন মেহের। খবর পেয়ে খাদ্য পরিদর্শক এনামুল হক সরেজমিনে গিয়ে তার সত্যতা পান। পরে তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ডিলার মেহের আলীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন খাদ্য পরিদর্শক । এই চাল দরিদ্র মানুষের মধ্যে ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার কথা।

এলাকাবাসী জানায়, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার মেহের আলীর নির্ধারিত গুদামে কোন চাল নেই। গুদাম ছাড়াই তিনি কতৃপর্ক্ষকে ম্যানেজ করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে রাতের আধারে এসব চাল মজুদ করেন। বিষয়টি জানাজানির পর স্থানীয়রা উপজেলা প্রশাসনকে জানান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, প্রতিবার চাল উত্তোলনের সময় ডিলার মেহের আলী খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে কৌশলে চাহিদার বেশি চাল উত্তোলন করে। বিতরণ শেষে অধিক লাভের আসায় অবশিষ্ট চাল রাতারাতি ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করে টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নেন।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে ডিলার মেহের আলী বলেন, ব্যস্ত আছি, একটু পরে ফোন দিচ্ছি। পরে একাধিক বার ফোন করেও কোনো সাড়া মেলেনি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক এনামুল হক জানান, অক্টোবর মাসে সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে চালগুলো সংগ্রহ করেছিলেন মেহের আলী। তথ্যগত ভুলের কারণে চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত বরাদ্দ পান তিনি । কিন্তু সুবিধা ভোগীদের মাঝে বিতরণের পর অবশিষ্ট চালের বিষয়ে আমাকে না জানিয়ে অবৈধভাবে মজুত করে রেখেছে। নির্ধারিত সময়ে কোনো ডিলারের বিতরণকৃত চাল শেষ না হলে অবশিষ্ট চালের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানাতে হবে।

নাউতারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাফফর মিয়া বলেন, আমি ঢাকায় ছিলাম বিষয়টি এখনও জানিনা। তবে ডিলারের চাল আওয়ামী অফিসে থাকার কথা নয়। এ ঘটনায় কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হারুন অর রশিদ বলেন, বিতরন শেষে ডিলারদের গুদামে চাল রাখার নিয়ম নেই। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানান, সরকারি চাল মজুদের ঘটনায় দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.