কিছু কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজি ছাড়া বাজারে সব সবজিই সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। শুধু সবজি নয়, চাল, ডাল, ডিম, চিনি ও তেলসহ প্রায় প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দামই এখন আকাশচুম্বী।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) লক্ষ্মীপুর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজির প্রচুর আমদানি রয়েছে। কিন্তু সে অনুযায়ী দাম কমেনি। বাজারে প্রতি কেজি সবজিতে দাম বেড়েছে ১৫-২০ টাকা। কমের মধ্যে শুধু পেঁপে ২০ টাকা, মুলা ২০ টাকা আর পুরোনো আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়।
এছাড়া বাজারে পাতাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৪০-৫০ টাকায়। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬৫ টাকায়। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৬০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকা। বাজারে শিমের কেজি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করলা ৬০-৭৫ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি ৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৩৫-৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৫০, ঢেঁড়স ৭০, কচুর লতি ৮০-৯০ বরবটি ৬০-৮০ ও ধুন্দুল ৪০-৫০টাকা কেজি। কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি ৪০-৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা।জলপাই প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকা।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে নতুন সবজি আসলেও দাম কমেনি। তবে দ্রুতই সবজির দাম কমে যাবে। বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। রসুনের কেজি ১২০-১৩০ টাকা। আদা ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বেড়েছে চিনির দাম। বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১২০ টাকা, কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। সাত দিন আগে চিনির কেজি ছিল ১১০-১১৫ টাকা। প্যাকেট চিনির কেজি ১২০-১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। আগে এক লিটার তেলের বোতল ছিল ১৭৮ টাকা। তেলের ৫ লিটারের বোতল আগে ছিল ৮৮০ টাকা। এখন পাঁচ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৯২৫ টাকায়। কমেছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। ফার্মের লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে লাল ডিমের ডজন ছিল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। আগের দামে হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯৫-২০০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২২০-২২৫ টাকা। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১৫ টাকা কমলেও আগের দামে বিক্রি হচ্ছে সোনালি ও লেয়ার মুরগি। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩১০ টাকায়। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০টাকায়। বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৭৫০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৯০০ টাকায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারগুলোতে চাহিদা মত পণ্য থাকলে ও ক্রেতা চড়া দামের কারণে ক্রেতা সংকট। স্থানীয় একজন ব্যবসায়ীর সংঙ্গে কথা বলার পর জানতে পারলাম পুরো বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন একটি সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটের হাত থেকে বাজার রক্ষা করতে না পারলে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যাবে।