রাজশাহীতে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এর ফলে ঢাকাগামী কোচগুলো সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে। বাস বন্ধ থাকায় সকাল থেকে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রাজশাহী থেকে কোনো রুটে বাস ছেড়ে যায়নি। বাইরের কোনো বাসও রাজশাহীতে প্রবেশ করেনি।
বাস না চলায় অটোরিকশা বা ছোট বাহনে মানুষ গন্তব্যে যাচ্ছেন। এজন্য তাদের বাড়তি ভাড়াও গুনতে হচ্ছে। এছাড়া চাপ বেড়েছে ট্রেনে।
সকাল থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার উদ্দেশ্যে মহানগরের শিরোইল, ভদ্রা ও রেলগেট বাস টার্মিনালে আসেন যাত্রীরা। কিন্তু বাস না পেয়ে কেউ বিকল্প যানবাহন কেউবা বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। অনেককে আবার রাজশাহী রেলস্টেশনে ভিড় করতে দেখা যাচ্ছে।
পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকেই ভোগান্তি পোহাচ্ছেন রাজশাহীর আন্তঃজেলা রুটের যাত্রীরাও। সিএনজি, হিউম্যান হলার, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন বিকল্প যানবাহনে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে যাত্রীরা জরুরি প্রয়োজনে নিজ গন্তব্যে রওয়ানা দিচ্ছেন। অনেকে আবার পায়ে হেঁটেই রওয়ানা দিতে দেখা গেছে।
এদিকে, ধর্মঘটের ফলে চাপ বেড়েছে ট্রেনে। তাই বিভিন্ন রুটের ট্রেনের টিকিট এরইমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। টিকিট না পেয়ে অনেকে দাঁড়িয়েই রওয়ানা দিচ্ছেন। এছাড়া রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে যেসব ট্রেন আসছে ও যাচ্ছে তাতে অতিরিক্ত যাত্রী চাপ লক্ষ্য করা গেছে।
রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মাতিউল হক টিটু গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের অনেক দিনের দাবি ছিল এটি। আমরা নির্ধারিত সময় বেঁধে দিয়েছিলাম। তবে আমাদের কোনো আশ্বাস না দেওয়ায় আমার আজ সকাল থেকে স্বেচ্ছায় কর্মবিরতিতে গেছি।
মানুষের ভোগান্তি ও বিএনপির সমাবেশের বিষয়ে চানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তো মানুষ পরিবহনই করছি না। তাই ভোগান্তি আমাদের দিক থেকে নেই। আর বিএনপির সঙ্গে এই পরিবহন ধর্মঘটের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি আমাদের দাবি আদায়ের স্বেচ্ছায় কর্মবিরতি।
টিটু আরও বলেন, আমাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। বুধবারের মধ্যে সড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধসহ ১১ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় এই ধর্মঘট চলবে।