× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

লক্ষ্মীছড়িতে অবৈধভাবে কাটা হচ্ছে সরকারি বনাঞ্চলের গাছ

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

৩০ নভেম্বর ২০২২, ২৩:৪০ পিএম

খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়িতে সরকারি বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে  সামাজিক বনায়নের আওতায় রোপিত গাছ করাতকলে কেটে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে স্থানীয় একটি চক্র । বেশ কিছুদিন ধরে স্থানীয় স-মিল মালিক, কাঠ ব্যবসায়ী এবং কাঠ মিস্ত্রিদের সমন্বয়ে গঠিত চক্রটি প্রকাশ্যে এ ধরনের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ক্ষেত্র নিরভ ভূমিকা পালন করছে স্থানীয় বনবিভাগ ও প্রশাসন। এ যেন দেখেও না দেখার ভান করছে!

উপজেলার দুল্যাতলী, লক্ষীছড়ি সদর, বাগান পাড়া, ময়ূরখীল,বানর কাটা, বাইন্নাছোলা, মরা চেঙ্গি, শুকনাছড়ি, দুদ্যাখোলাপাড়া এলাকার বেশ কিছু সরকারি বনায়নকৃত গাছ কেটে অবৈধ সমিলে প্রক্রিয়াজাত করে তা রাতের আধারে চট্টগ্রাম, ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাচার করছে এ কাজের সাথে জড়িত কাঠ পাচারকারী চক্রের সদস্যরা। এ কাজে স্বয়ং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও জড়িত বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই তা জানিয়েছেন।

সরকারী ভাবে সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের আওতায় রোপনকৃত সেগুন, গামারী, আকাশি ও বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রাতের আধারে উজাড় করছে চক্রটি। সরকারি সম্পত্তি লুটপাট করে বিপুল পরিমান অর্থে ভারি করছে পকেট। অবৈধভাবে পাচার করায় বঞ্চিত হচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। পাচারকারী চক্রের সদ্যদের রয়েছে নিজস্ব সমিল।

অন্যদিকে লক্ষীছড়ি উপজেলায়  ৩টি স- মিল অনুমোদন থাকলেও প্রভাবশালীরা  সরকারি বিধি উপেক্ষা করে, আইন কানুনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল প্রদর্শন করে গড়ে তুলেন  অবৈধ ভাবে ৭টি স-মিল। প্রভাবশালীদের নিজস্ব  স-মিল থাকায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে রাতের আঁধারে সরকারি গাছ গুলো চুরি করে এনে সেসব স-মিলে মজুদ করে তা প্রক্রিয়াজাত করে পারমিটের নাম করে তা পাচার করছেন তারা। 

১)রশিক কুমার চাকমা,দুলনাতলী সমিল। 
২)জগৎ প্রতি দাস  বানরকাটা সমিল। 
৩)মইনুদ্দিন  বানর কাটা সমিল 
৪) শহিদুল যাত্রী ছাউনি সমিল
৫)শাহ জালাল বাইন্না ছোলা সমিল
৬)অসীম মরা চেঙ্গি  সমিল
৭)হৃদয় বাবু মরা চাঙ্গে  সমিল
৮)বদিপ্রিয় শুকনাছড়ি সমিল
৯)অংছা মারমা দুদ্যাখোলাপাড়া,
এইসব সমিল সাবার করছে সরকারী সামাজিক বনাঞ্চল। 

বন বিভাগের সাথে সমন্বয় করে পারমিটের কাজেও প্রতারণা করছেন চক্রটি। এক জায়গার পারমিন অন্য জায়গায় কাজে লাগিয়ে অবৈধ গাছ বৈধ করে কেটে ফেলছেন তারা। যা সরকারীভাবে লাগানো গাছ কেটে প্রকাশ্যে অন্য জেলায় নেওয়ার একটি ফরমুলা মাত্র। 

সংশ্লিষ্ট  গাছ পাচারকারী চক্রটি প্রচার করে আসছে গাছ গুলো সরকারিভাবে পারমিট করা। কিন্তু সত্যিকার্থে পারমিটের সাথে স্থানের কোনো মিল থাকে না। এক জায়গার পারমিট অন্য জায়গাতে ব্যবহার করছেন তারা।  এ ধরনের অপকর্ম বন্ধে বা সরকারি বনাঞ্চল রক্ষায় বন বিভাগের কোনো তৎপরতা নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। অবৈধ সমিল মালিকদের চাপে বৈধ সমিল মালিকরাও দিশে হারা।

সমিল মালিক জগৎ প্রতি দাশ জানান, লক্ষ্মীছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেনের যোগসাজসে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু সমিল। যার সাথে তিনিও জড়ি বলে শোনা যাচ্ছে। দিনের পর দিন সরকারী গাছ অবৈধ সমিলে প্রক্রিয়া করে তা পাচার করছেন চক্রটি। 

স্থানীয় মোঃ রুহুল আমিন জানান, সরকারী  বাগান রাতের আধাঁরে  কেটে সাবার করছে গাছ ব্যবসায়ীরা। তখন রেঞ্জকর্মকর্তা কিছুই বলে না। আর স্থানীয়রা একটি লাকড়ি আনলে তাদের সাথে ব্যবহার খারাপ করে বন কর্মকর্তা, কর্মচারীরা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন জানান, লোকবল সংকটের কারণে এবং নিরাপত্তাহীনতার কারণে সেখানে পর্যাপ্ত নজরদারি করা সম্ভব হয় না। সেই সাথে উপজেলায় তিনটি বৈধ সমিল থাকলে আরো ৬ টি অবৈধ সমিল গড়ে তুলেছেন স্থানীয় প্রবাশালীরা। উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.